কানে কোনও অভিযোগ এলে 'দিদিকে বলো'তে জানান রাজ্যপাল, পরামর্শ মন্ত্রী সাধনের
"এরাজ্যেও গোপনীয়তা লঙ্খন নয়। অনেকেই আমাকে একথা বলেছেন।" রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মুখ খোলেন রাজ্যপাল। এরাজ্যেও অনেকের গোপনীয়তা খর্ব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার জবাবে আজ রাজ্যপালকে সাধন পাণ্ডে 'দিদিকে বলো'-র হয়ে কাজ করার 'পরামর্শ' দেন। সাধন পাণ্ডে বলেন, "রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তাঁর কানে কোনও অভিযোগ এলে, তিনি তো দিদিকে বলোতে জানাতে পারেন!"
শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। সেটা জানেন তিনি। প্রমাণও আছে। তাঁর ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারকে কী বলব! সবই তো জানে। এখন তো আর হোয়াটসঅ্যাপকে ভরসা করা যাচ্ছে না। পুরো নজরদারি চলছে।" ভারতের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর উপর ইজরায়েলের স্পাইওয়্যার পেগসাসের নজরদারির খবর মিলেছে। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "এটা গুরুতর ব্যাপার। সরকারই এটা ইজরায়েলকে করতে দিয়েছে। যা ব্যবহার করছে এজেন্সির।"
সেই প্রসঙ্গেই রবিবার রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করা হলে ফের তির্যক মন্তব্য করেন জগদীপ ধনখড়। মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল বলেন, "কোন তথ্যের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী একথা বলছেন, তা উনিই বলতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কী তথ্য আছে, তা জানি না। তবে এরাজ্যেও গোপনীয়তা লঙ্খন নয়। অনেকেই আমাকে একথা বলেছেন।" রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায়। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পর গতকালই পাল্টা মুখ খোলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জগদীপ ধনখড়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, "কারা রাজ্যপালকে একথা বলেছেন। সেই তালিকা প্রকাশ করুন তিনি।" আজ ফের তৃণমূলের আরেক মন্ত্রী রাজ্যপালের উদ্দেশে পাল্টা তির্যক মন্তব্য করলেন।
আরও পড়ুন, পেটে ফুটবলের আকারে টিউমার! বিরল সেই কোলন ক্যান্সার নিরাময়ে সাফল্যের নজির কলকাতায়
পাশাপাশি, তাঁকে রাজ্যের কোনও অনুষ্ঠানেই ডাকা হচ্ছে না। কলকাতা চলচ্চিত্র উত্সবেও তিনি আমন্ত্রিত নন। গতকালই এমন অভিযোগ করে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই প্রসঙ্গেও আজ রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বলেন, কোন অনুষ্ঠানে কাকে ডাকা হবে, তা একেবারেই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত। রাজ্যপালকে সব অনুষ্ঠানে ডাকতেই হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই।