কলকাতায় আরএসএস দফতরে হামলার অভিযোগ

ওই সংগঠনের দাবি, কেশব ভবন লক্ষ্য করে ইট ছোড়া। ভবনের সামনে লাগানো ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। 

Updated By: May 15, 2019, 11:25 PM IST
কলকাতায় আরএসএস দফতরে হামলার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় আরএসএসের সদর দফতর কেশব ভবনে হামলার অভিযোগ উঠল। বুধবার বিকেলে কয়েকজন গিয়ে সেখানে হামলা চালায় বলে আরএসএসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।

ওই সংগঠনের দাবি, কেশব ভবন লক্ষ্য করে ইট ছোড়া। ভবনের সামনে লাগানো ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলেই আরএসএসের দাবি। কিন্তু এই ঘটনা কারা ঘটাল? আরএসএসের দাবি, নকশালপন্থী সংগঠনের সদস্যরাই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে পথে বসল তৃণমূল, কটাক্ষ রাহুল সিনহার

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতায় এক মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। সেই মিছিল শুরু হয় শহিদ মিনার থেকে। মিছিল শেষ হয় কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দর বাড়ির সামনে।

ওই মিছিলে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেই মিছিল যখন কলেজ স্ট্রিট ও বিধান সরণি দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় গোলমাল হয়। অমিত শাহর মিছিলে কালো পতাকা দেখানো হয়।

বিজেপি অভিযোগ করে, তৃণমূলের তরফে পরিকল্পিত ভাবেই বিক্ষোভ করা হয়। মিছিলে ইট ছোড়া হয়। এ নিয়ে বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে ধুন্ধুমার বাঁধে। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভেঙে যায় বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তি।

আরও পড়ুন: ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে মূর্তির বিরোধী মমতাই, হিম্মত থাকলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখান: যোগী

এ নিয়ে মঙ্গলবার রাত থেকেই উত্তপ্ত রাজ্যের রাজনৈতিক বাতাবরণ। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করে। দু’পক্ষই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে।

ওই ঘটনায় নাম জড়িয়ে গিয়েছিল আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির। তাদের সদস্যরাই মিছিল থেকে বিদ্যাসাগর কলেজে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তরফে শেষ দফার ভোটে কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়। আগামী রবিবার শেষ দফার নির্বাচন। প্রচার শেষ হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার বিকেলে। কিন্তু তার বদলে প্রচার শেষ হয়ে যাবে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায়।

আরও পড়ুন: মূর্তি ভাঙার পর জনমানসের আবেগ থেকে নজর ঘোরাতে এটা মোদী-শাহের নির্দেশ: মমতা

একই সঙ্গে কমিশনের তরফে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

.