গোটা দেশের চেয়েও পশ্চিমবঙ্গে অধিক হারে বাড়ছে আরএসএস

রাজ্যে বটবৃক্ষের আকার নিচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। 

Updated By: Mar 15, 2018, 03:21 PM IST
গোটা দেশের চেয়েও পশ্চিমবঙ্গে অধিক হারে বাড়ছে আরএসএস

অঞ্জন রায়: রাজ্যে বাড়ছে সঙ্ঘের শক্তি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দাবি, এ রাজ্যে গত ৫ বছরে ৭০ শতাংশ শাখা বেড়েছে তাদের। ২০১৩ সালে সঙ্ঘের শাখা সংখ্যা ছিল ৭৫০। বর্তমান সেই তা বেড়ে হয়েছে ১২৭৯। আরএসএসের দাবি, দক্ষিণবঙ্গেই রয়েছে ৯১০টি শাখা। ৩৬৯টি শাখা রয়েছে উত্তরবঙ্গে।   

আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গের সম্পাদক জিষ্ণু বসু বলেন, ''২০১৩ সালে আমাদের ৭৫০টি শাখা ছিল। ২০১৭ সালে আমরা ১,১০০-তে পৌঁছেছি। ২০১৮ সালে সেই সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছে ১২৭৯। পশ্চিমবঙ্গ থেকে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি আমরা। আরএসএসে যোগদান করছেন যুবকরা। এটা জেহাদি ও মৌলবাদিশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সাহায্য করবে। এখানে হিন্দুদের অবস্থা মোটেই সন্তোষজনক নয়। বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা হয়ে উঠেছে বাংলা। ফলে শাখা ও অন্যান্য সংগঠনের শক্তি বাড়ানোই আমাদের অগ্রাধিকার।''
         
আরএসএসের মুখপাত্র বিপ্লব রায়ের কথায়, ''শুধু শাখাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে সাপ্তাহিক মিলন ও মাসিক সভাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৬২১টি সেবাকেন্দ্র চালাচ্ছি আমরা।''

আরও পড়ুন- 'লভ জিহাদ' তদন্তে নয়া মোড়; সম্মোহিত করে ধর্মান্তরণ, জানাল এনআইএ
 

এ বছর রাম নবমী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এতে খুশি আরএসএস। জিষ্ণু বসুর কথায়, ''শাসক দল রাম নবমী উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা খুশি। ওরা নিজেদের আগের অবস্থান বদল করেছে। কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নই আমরা।'' কিন্তু প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা নিয়ে কী বলছেন আরএসএস-এর দক্ষিণবঙ্গের সম্পাদক? জিষ্ণুর মত, ''আমরা আইন মেনে চলব। তবে রাম নবমী ও মহরমের ক্ষেত্রে একই নিয়ম হওয়া বাঞ্চনীয়।''             

আরএসএস সূত্রে খবর, গোটা দেশে গতবছর সংগঠন বৃদ্ধি পেয়েছে ৪০ শতাংশ হারে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি। এখানে সংগঠন বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৭ শতাংশ। ফলে পশ্চিমবঙ্গ যে সঙ্ঘের উর্বর জমি হয়ে উঠছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। 

আরও পড়ুন- পুলিসের অনুমতি না পেলেও রাম নবমীতে শোভাযাত্রা, হুঁশিয়ারি ভিএইচপি-র

.