গৌতম কুণ্ডুর রঙিন রাত, CBI নজরে গোপন আস্তানা
রোজভ্যালি তদন্ত এগোচ্ছে। আর প্রতি পরতে খুলছে রহস্য-গ্ল্যামার-থ্রিলের নয়া চ্যাপ্টার। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে গৌতম কুণ্ডুর গোপন আস্তানা। মুম্বই ও কলকাতার অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাটে প্রতি রাতে বসত মোচ্ছব। নাচগানের আসর জমাতেন বলিউড-টলিউডের গ্ল্যামার কুইনরা। আর এদের সঙ্গ পেতে আমানতকারীদের টাকা দু হাতে ওড়াতেন গৌতম কুণ্ডু।
ব্যুরো: রোজভ্যালি তদন্ত এগোচ্ছে। আর প্রতি পরতে খুলছে রহস্য-গ্ল্যামার-থ্রিলের নয়া চ্যাপ্টার। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে গৌতম কুণ্ডুর গোপন আস্তানা। মুম্বই ও কলকাতার অভিজাত এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাটে প্রতি রাতে বসত মোচ্ছব। নাচগানের আসর জমাতেন বলিউড-টলিউডের গ্ল্যামার কুইনরা। আর এদের সঙ্গ পেতে আমানতকারীদের টাকা দু হাতে ওড়াতেন গৌতম কুণ্ডু।
পেশায় চিটফান্ড মালিক। কিন্তু, গৌতম কুণ্ডুর নাইট লাইফ লজ্জা দিতে পারে আরব্য রজনীর রাতকেও। রোজভ্যালি তদন্ত যত এগোচ্ছে, গৌতম কুণ্ডুর বৈভব চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে তদন্তকারীদের। CBI বলছে...আমানতকারীদের টাকা দু হাতে উড়িয়েছেন রোজভ্যালি কর্তা। আর আগাগোড়া তাঁর সঙ্গী ছিলেন বলিউড-টলিউডের একাধিক গ্ল্যামার কুইন।
মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকায় গোপন ফ্ল্যাট ছিল গৌতম কুণ্ডুর।সেই ফ্ল্যাটের অ্যান্টি চেম্বারে প্রতিরাতে বসত মোচ্ছব। নাচ-গানের আসর জমাতেন বলিউড-টলিউডের গ্ল্যামার কুইনরা। রাতভর চলত হই-হুল্লোড় পার্টি। এক রাত অভিনেত্রীদের সঙ্গ পেতে দু হাতে টাকা ওড়াতেন রোজভ্যালি কর্তা। ঘনিষ্ট দুই টলিউড অভিনেত্রী ছাড়াও গৌতম কুণ্ডুকে ঘিরে থাকতেন বলি-টলির কয়েকজন উঠতি নায়িকাও। স্টারলেটদের আবদার মেটাতে দু হাতে টাকা ওড়াতেন রোজভ্যালি কর্তা। কোম্পানির চরম বেহাল দশাতেও টাকার জোগানে খামতি হয়নি কখনও। CBI জানতে পেরেছে, প্রতি উইকএন্ড বা ছুটির সময়ে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে সময় কাটাতেন গৌতম কুণ্ডু। রোজভ্যালি কর্তার সঙ্গী হতেন টলিউড কাঁপানো এক অভিনেত্রী। ওই নায়িকার মাধ্যমেই বলিউডের একাধিক উঠতি মুখের সঙ্গে ভাব জমান চিটফান্ড কর্তা। শুধু মুম্বই নয়। দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরের এক অভিজাত আবাসনে ফ্ল্যাট ছিল গৌতম কুণ্ডুর। সেখানেও বসত মোচ্ছব। সেই ফ্ল্যাটেও যাতায়াত ছিল এক নায়িকার।
কেন CBI নজরে?
রোজভ্যালি কর্তার নাইট লাইফকে কেন এত গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা? CBI বলছে, রোজভ্যালি তদন্তে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমানতকারীদের গচ্ছিত টাকা বিভিন্ন ভাবে উড়িয়েছেন গৌতম কুণ্ডু। আমানতকারীদের টাকা ঘুরপথে বাইরে বের করে এনে একাধিক ফ্ল্যাট ও বাংলো কেনা হয়। কলকাতা ও মুম্বই মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২টির বেশি ফ্ল্যাটের হদিশ। ফ্ল্যাটগুলি বেশিরভাগই তাঁর পরিবারের নামে কেনা হয়।CBI জেরায় এনিয়ে কোনও তথ্যই দেননি রোজভ্যালি কর্তা। তদন্তকারীরা বলছেন, যে নায়িকারা রোজভ্যালি কর্তার আতিথেয়তা নেন তারা সবাই রাডারে। ষড়যন্ত্রে যাঁরা জড়িয়ে কেউ ছাড় পাবেন না।