Recruitment Scam: কালীঘাটের কাকু’-র ট্রাস্টকে ৬ কোটির বাংলো! চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির
Kalighat Kaku: কালীঘাটের কাকু ও তাঁর আত্মীয়ের সংস্থা মিলিয়ে ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবার ইডি-র নজরে বলে জানা গিয়েছে। কালো টাকা সাদা করার কাজে এই ৫০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কাজে লাগানো হয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। এবার নজরে ছয় কোটির বাংলো।
বিক্রম দাস: ‘কালীঘাটের কাকু’-র ট্রাস্টকে ৬ কোটির বাংলো! দাবি ইডি সূত্রে। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ‘বাংলার বন্ধু’ ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণ সুজয়কৃষ্ণের হাতে। সেই ট্রাস্টকে ৬ কোটি টাকার বাংলো উপহার। ইডি নজরে বেহালার এক বাসিন্দা। সেই ব্যক্তিই এই বাংলো উপহার দেন। বেহালার ওই বাসিন্দাকে তলব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। কাকুর ট্রাস্টে টাকা দেন আরও কয়েকজন। বিপুল অঙ্কের টাকা দেন বেশ কয়েকজন। ইডি নজরে সেই ব্যক্তিরাও।
এর আগে রুটিন মেডিক্যাল টেস্ট করাতে এসে মেজাজ হারান সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে ফুঁসে ওঠেন সুজয় কৃষ্ণ। বলেন, অভিষেককে ডাকাডাকি করে কোনও লাভ হবে না। তাঁর ৬টি কোম্পানিতে ২০-২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ কীভাবে? মেজাজ হারিয়ে কাকুর জবাব, তাতে আপনার কী?
এরপর সাংবাদিকদের একের পর প্রশ্নের উত্তরে কালীঘাটের কাকু বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে আমি কাজ করছি। সব হিসাব আমি ইডিকে দিয়েছি। সব কাগজ দিয়েছি।’ তাঁর অ্যাকাউন্টে নাকি দু’কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে ইডি? জবাব চড়া গলায় ‘কাকু’ বলেন, ‘তাতে আপনার কী আর ইডির কী? আদানি, আম্বানিদের কত টাকা আছে?’
ইডির হাতে গ্রেফতারের পর থেকেই মেজাজ হারাচ্ছেন কালীঘাটের কাকু। গ্রেফতারের আগে জেরার মুখে ইডি-র একাধিক প্রশ্নে পার্থ চ্যাটার্জির নাম নিয়ে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার অথবা তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। সন্তু গাঙ্গুলি ২৭ কোটি টাকা নেওয়ার প্রশ্নেও কালীঘাটের কাকু বিষয়টিকে পার্থ চ্যাটার্জির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনায় ইডি বুঝতে পারে সন্তু নিয়েও তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আড়াল করার চেষ্টা করছেন তিনি। বেশ কিছু প্রমাণ সামনে রাখতেই সন্তু গাঙ্গুলির সঙ্গে নিজের যোগাযোগ নিয়ে নিরুত্তর হয়ে যান সুজয়। সুজয়ের বাজেয়াপ্ত হওয়া একাধিক মোবাইল ফোনে বিভিন্ন তথ্য ও কথোপকথন মুছে দিয়েছিলেন তিনি যা ইতিমধ্যেই উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এগুলি তাঁর সামনে রেখেই জেরা করা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। এরপরেই মেজাজ হারান কালীঘাটের কাকু’। তিনি ইডি অফিসারদের উপরে কার্যত চোটপাট করতে শুরু করেন বলেও জানা যায়। তার পরেই গত ৩১ মে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন, Panchayat Election 2023: নির্বাচনের কাজে সিভিক ভলেন্টিয়ার! সরব বিরোধীরা