Primary TET: হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে নিয়োগ শুরু, ইন্টারভিউতে ডাক পেলেন ১৮৭ জন
২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটের প্রশ্নে ভুল! মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। মামলাকারীদের নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইন্টারভিউতে ডাক পেলেন ১৮৭ জন। কবে? ১৯ সেপ্টেম্বর প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউতে হাজির থাকার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল।
২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটের প্রশ্নে ভুল! ৬টি প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থী। মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিয়ম অনুযায়ী ভুল প্রশ্ন 'অ্যাটেন্ড' করলে বা উত্তর দিলেই নম্বর পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে যদি তেমনটা করা হত, তাহলে টেটে উত্তীর্ণ হতেন তাঁরা। কেন নিয়ম মানা হল না? হাইকোর্টে সশরীরের হাজিরা দিতে হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। স্রেফ ক্ষতিপূরণ দেওয়া নয়, ১৮৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মেনেই এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হল।
এদিকে মানিক ভট্টাচার্যের অপসারণের পর, পর্ষদ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে গৌতম পাল। পর্ষদের কাজ পরিচালনার জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে রাজ্য। পোশাকি নাম, অ্য়াডহক কমিটি। সপ্তাহ খানেক প্রথমবার বৈঠকে বসেন এই কমিটির সদস্যরা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পুজোর পর ফের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হবে। শূন্য়পদের সঙ্গে কয়েক হাজার। কারা আবেদন করতে পারবেন? এখনও পর্যন্ত যারা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নিচে। শুধু তাই নয়, , নতুন চাকরীপ্রার্থীদের জন্য যাতে এ বছরই টেট নেওয়া যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee, SSC Scam: ইডি-জেলের পর এবার সিবিআই ঘরে পার্থ, উঠল 'চোর চোর' স্লোগান
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নয়া কমিটির প্রশংসা করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। টেট মামলার শুনানিতে তিনি বলেছেন, 'নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, অভীক মজুমদারের মতো মানুষ আছেন। বর্তমান চেয়ারম্যানও ভালো মানুষ। আশা রাখছি, আস্তে আস্তে পরিবর্তন হবে'। তাঁর আরও বক্তব্য, 'আমিও পর্ষদের হয়ে কাজ করেছি। যে বাড়ির আনাচ-কানাচ চিনি, সেই বাড়িতে সিআরপিএফ ঢোকাতে হয়েছে। আমার খারাপ লেগেছে। আগে স্বচ্ছতা ছিল, দুর্নীতি ছিল না'। বস্তুত, সম্মিলিত মেধাতালিকা প্রকাশ করা পর্ষদের মাস্টারস্ট্রোক ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।
এদিকে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। ২০১৭ সালের টেটের দ্বিতীয় মেধাতালিকা বেআইনি ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। দুর্নীতি মামলার তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে ইডিও। বস্তুত, ২০১১-র পর রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে কতজনকে নিয়োগ? পর্ষদের কাছে তা জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।