গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১
পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রাতের কলকাতায়। ঠিক একই কায়দায় গড়িতে তোলা হয় মহিলাকে। তবে এক্ষেত্রে একটি অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে। এবারে ধর্ষিতাকে গাড়িতে তোলা হয় চেতলা থেকে।
পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রাতের কলকাতায়। ঠিক একই কায়দায় গড়িতে তোলা হয় মহিলাকে। তবে এক্ষেত্রে একটি অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে। এবারে ধর্ষিতাকে গাড়িতে তোলা হয় চেতলা থেকে। ধর্ষণের পর ফের চেতলাতেই তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
অভিযোগকারিনীর বক্তব্য অনুযায়ী শনিবার রাতে তিনি যখন আয়ার কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় চেতলা ব্রিজের কাছে তাঁর পাশে একটি গাড়ি এসে থামে। গাড়ি থেকে এক অপরিচিত যুবক নেমে তাঁর রাস্তা আটকায় এবং তাঁকে গাড়িতে উঠতে বলে। গাড়িতে আরও ২-৩ জন যুবক ছিল। মহিলা গাড়িতে উঠতে অস্বীকার করে চিত্কার করে লোক জড়ো করবার ভয় দেখালে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই তাঁকে জোর করে গাড়িতে তোলার পরই তাঁর চোখ বেঁধে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিনী। চোখ বাঁধা অবস্থাতেই তাঁকে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তাঁর চোখ খুলে দেওয়া হয়। এরপর দুজনে মিলে সেই ঘরের মধ্যেই তাঁকে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিনী। এমনকী ধর্ষণের সময় ঘরে অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিল বলে জানান তিনি।
ধর্ষণের পর ফের তাঁর চোখ বেঁধে গাড়িতে তোলা হয় এবং চেতলার একটি বহুতলের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। রবিবার সকালে ওই বহুতলেরই নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে চারুমার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। রবিবারই এসএসকেএমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। মহিলাকে নিয়ে এলাকায় তল্লাসি চালানের পর একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃত ব্যক্তির নাম ছেনো। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। আলিপুর আদালতে ওই মহিলার গোপন জবানবন্দী নিয়েছে পুলিস। দুষ্কৃতীরা দীর্ঘদিন ধরে মহিলার গতিবিধির ওপর নজর রেখে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলেই মনে করছে পুলিস। মহিলা কখন কাজ সেরে বাড়ি ফেরেন দুষ্কৃতীরা তা জানত। সেই সময়েই পরিকল্পনা মাফিক তাঁর পথ আটকে তাঁকে গাড়িতে তুলে নেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতার হাত রয়েছে বলেও ধারণা পুলিসের। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে অভিযোগকারিনী এবং দুষ্কৃতীরা সকলেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। সেক্ষেত্রে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ধর্ষণের তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।