সরতে হল পচনন্দাকে, এলেন সুরজিত্‍ পুরকায়স্থ

গার্ডেনরিচ কাণ্ডের জেরে নজিরবিহীনভাবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে দেওয়া হল রঞ্জিত কুমার পচনন্দাকে। সূত্রের খবর তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হচ্ছে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে। দময়ন্তী সেনের পর রঞ্জিত পচনন্দা। সরকারের সঙ্গে বিরোধীতায় পদ থেকে সরে যেতে হচ্ছে এই শীর্ষ স্থানীয় আইপিএসকে। এদিকে, সবাইকে অবাক করে গার্ডেনরিচ কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল সিআইডিকে।

Updated By: Feb 14, 2013, 06:53 PM IST

গার্ডেনরিচ কাণ্ডের জেরে নজিরবিহীনভাবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল রঞ্জিত কুমার পচনন্দাকে। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হল সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে। গার্ডেনরিচ কাণ্ডে সক্রিয়তা দেখানোয় পচনন্দাকে সরানো হল বলে খবর।
গার্ডেনরিচ কাণ্ডের জেরেই যে নগরপালকে বদলি করা হয়েছে, তা সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মহাকরণে মমতা জানান, খিদিরপুর কাণ্ডে অভিযুক্তদের না ধরায় নগরপালকে বদলি করা হল।
এদিকে, সবাইকে অবাক করে গার্ডেনরিচ কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল সিআইডিকে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার গার্ডেনরিচে কলেজ নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক গণ্ডগোল সৃষ্টি হয়। ওই দিনই দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হন কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার তাপস চৌধুরী। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তৃণমূল কাউন্সিলার মুন্না ওরফে মহম্মদ ইকবালের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারের জোরালো দাবি ওঠে সর্বস্তর থেকে। কিন্তু পুরমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনায় সরাসরি মুন্নার পাশে এসে দাঁড়ান। সাংবাদিকদের সামনে জোর সওয়াল করেন মুন্নার হয়ে। এমনকি ফোনেও মুন্নাকে গ্রেফতার না করতে কমিশনারকে নির্দেশ দেন পুরমন্ত্রী। পুরমন্ত্রীর সঙ্গে পচনন্দার ফোনে এই বিষয়ে বিবাদের খবরও প্রকাশিত হয় সংবাদপত্রে।অন্যদিকে মুন্না তথা বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে লালবাজারের অভ্যন্তরে রীতিমত বিদ্রোহ করেন আইপিএস অফিসাররা। এরপর কার্যত বাধ্য হয়েই গোটা ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরে আনতে তল্লাশির নির্দেশ দেন নগরপাল পচনন্দা।     
পুরমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে গিয়ে পচনন্দার এই নির্দেশের পরেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে আজকেই নিহত পুলিসকর্মীর বাড়িতে গিয়ে আইন আইনের পথেই চলবে বলে দাবি করেন সেখানে ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিস কমিশনারের অপসারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

 

.