পুলিসের অনুমতি না পেলেও রাম নবমীতে শোভাযাত্রা, হুঁশিয়ারি ভিএইচপি-র
রাজ্যের ৫০ লক্ষ মানুষ অংশ নেবেন রাম নবমীর শোভাযাত্রায়, দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের।
অঞ্জন রায়
রাম নবমীর উদযাপন নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে 'রামায়ন'। আর এই যুদ্ধে এক ইঞ্চি মাটি ছাড়তেও নারাজ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের দাবি, পুলিস বলছে, ওইদিন রাম নবমীর মিছিল করবে তৃণমূল। তাই অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে অনুমতি না পেলেও মিছিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভিএইচপি।
গতবছর এপ্রিলে রাজ্যজুড়ে রাম নবমীর মিছিল করেছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। রাস্তায় লোক জড়ো করে নিজেদের শক্তি বুঝিয়েছিল তারা। এবছরও তেমনই পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের দাবি, রাজ্যজুড়ে ৫০ লক্ষ মানুষ মিছিলে অংশ নেবেন।
এবছর আবার রাম নবমী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলও। সেখানে দলের নেতারা অংশ নিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। ফলে রামকে নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে টানাটানি। পুলিসের অনুমতি না পেলেও শোভাযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের যুব শাখা বজরং দলই আয়োজনের দায়িত্বে। শনিবার ভিএইচপির মুখপাত্র চন্দ্রনাথ দাস অভিযোগ করেন, ''তৃণমূল মিছিল করবে বলে অনুমতি দিচ্ছে না পুলিস। এভাবে আমাদের রোখা যাবে না। রাজ্যের ৫০ লক্ষ মানুষ অংশ নেবেন মিছিলে।''
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় ১টি আসনে নির্বাচনের আগে প্রার্থী প্রত্যাহার সিপিএমের
শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, রাম নবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা যাবে না। বাজানো যাবে না গান। কঠোর হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে পুলিস। শোভাযাত্রায় কি গতবারের মত অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখা যাবে? চন্দ্রনাথবাবু কথায়, ''আমরা কাউকে অস্ত্র আনতে বলি না। তবে কেউ আনলে আনতে পারেন।''
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাম নামেই ভারতে উত্থান সঙ্ঘ পরিবারের। সেই 'রাম' অন্য কেউ নিয়ে চলে যাবে, তা মানতে নারাজ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। রাজ্যে-প্রশাসন বনাম বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরও একটা 'রামায়ন' দেখা যেতে পারে রাম নবমীতে।
আরও পড়ুন- মানিকের আবাসে মিলেছিল মহিলার কঙ্কাল, ট্যাঙ্ক সাফাইয়ের পরামর্শ দেওধরের