শহরে এসে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ রাজনাথের, স্বস্তিতে রাজ্যে বিজেপি নেতারা
বর্ষপূর্তিতে মোদী সরকারের গুণ গাইতে এসে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন রাজনাথ সিং। আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাতে ঝালের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ঝালমুড়ির রসভঙ্গ হল ঠিকই, কিন্তু হাসি ফুটল বঙ্গের বিজেপি নেতাদের মুখে।
ওয়েব ডেস্ক: বর্ষপূর্তিতে মোদী সরকারের গুণ গাইতে এসে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন রাজনাথ সিং। আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাতে ঝালের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ঝালমুড়ির রসভঙ্গ হল ঠিকই, কিন্তু হাসি ফুটল বঙ্গের বিজেপি নেতাদের মুখে।
মোদী রাজ্যে আসছেন। মমতার সঙ্গে হাসি হাসি মুখে কথা বলছেন। কিন্তু, সারদার নাম মুখে আনছেন না। আরেক মন্ত্রী আবার মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে গড়ের মাঠে গিয়ে তাঁর সঙ্গে ঝালমুড়ি খাচ্ছেন। শুধু খাচ্ছেন না, ক্যামেরার সামনে বলছেনও। দিদির প্রশংসায় গদগদ হয়ে আইনস্টাইনকে পর্যন্ত টেনে আনতে ছাড়ছেন না। ছ-নম্বর মুরলীধর সেন লেনের হয়েছে বড় জ্বালা। নিচুতলার কর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। বিরোধীরা সকাল সন্ধে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিচ্ছেন। এই অবস্থায় রাজনাথ সিংয়ের মুখের দিকে বড় আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন রাহুল সিনহারা। তাঁরা চাইছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে রাজনাথ উদ্বেগ প্রকাশ করায় স্বস্তিতে বিজেপির রাজ্য নেতারা।
পালাবদলের আগে বা পরে। এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বরাবরই প্রশ্নের মুখে। শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন সব বিরোধী দলের কর্মীরা। বীরভূম সহ রাজ্যের নানা এলাকায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির মারামারি এখন রোজকার ঘটনা। ফলে রাজ্য বিজেপির পক্ষে ঝালমুড়ির ঝাঁঝ সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিস মন্ত্রীও বটে। এই পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একেবারে সদর দফতরেই কামান দেগে গেলেন রাজনাথ।
মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ভাবে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে গেলেন, তাতে সুসম্পর্কের চারাগাছটা বেড়ে ওঠার আগেই শুকিয়ে গেল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।