বালিগঞ্জে কিশোর খুনের ঘটনায় উঠে আসছে নানা তথ্য

নিহত কিশোর আবেশ শহরেরই নামী ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র। আবেশের বাবা স্বাগত দাশগুপ্ত চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিছু দিন আগে মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ জন্মদিনের পার্টিতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরোয় আবেশ। দুপুরে ১৭জন বন্ধু মিলে বাইরে খাওয়া দাওয়াও সারে। এরপরই সন্ধ্যাই আবেশ খুন হয়। আবেশের বাড়িতে খবর পৌঁছতেই, ছেলের মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার মা রিমঝিম। পরিবারের দাবি, ১৭জনের মধ্যে ছোটবেলার বন্ধু ও বান্ধবীকে ছাড়া অন্যদের চিনতো না আবেশ।

Updated By: Jul 24, 2016, 09:09 AM IST
বালিগঞ্জে কিশোর খুনের ঘটনায় উঠে আসছে নানা তথ্য
ছবিটি প্রতীকী

ওয়েব ডেস্ক : নিহত কিশোর আবেশ শহরেরই নামী ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র। আবেশের বাবা স্বাগত দাশগুপ্ত চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিছু দিন আগে মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার সকাল পৌনে দশটা নাগাদ জন্মদিনের পার্টিতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরোয় আবেশ। দুপুরে ১৭জন বন্ধু মিলে বাইরে খাওয়া দাওয়াও সারে। এরপরই সন্ধ্যাই আবেশ খুন হয়। আবেশের বাড়িতে খবর পৌঁছতেই, ছেলের মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার মা রিমঝিম। পরিবারের দাবি, ১৭জনের মধ্যে ছোটবেলার বন্ধু ও বান্ধবীকে ছাড়া অন্যদের চিনতো না আবেশ।

আরও পড়ুন-কলকাতার বালিগঞ্জে বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে খুনের অভিযোগ

বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান। আর সেখানেই খুন কিশোর। তাঁর শরীরে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। জানা গিয়েছে, ওই বান্ধবীর বাবা বিশিষ্ট লেখক, মা অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। গতকাল সব মিলিয়ে পার্টিতে ছিল ১৭ জন। নিমন্ত্রিত কিশোর-কিশোরীরাও সমাজের অভিজাত পরিবারেরই সন্তান। এরপরেও কেন পার্টির মধ্যে নির্মম হত্যার ঘটনা? উঠে আসছে ত্রিকোণ প্রেমের তত্ত্ব! সূত্রের খবর, এক বান্ধবীকে নিয়ে আবেশ ও তার ছোটবেলার বন্ধুর মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। ওই বান্ধবী কালিম্পংয়ের নামকরা কনভেন্ট থেকে মাধ্যমিক পাশ করে। মাস খানেক আগে বন্ধুর মাধ্যমেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় আবেশের। এরপরই সেই বান্ধবীকে নিয়ে শুরু হয় দুই বন্ধুর মধ্যে টানাপোড়েন। শনিবার দুপুর থেকে দু'জনের মধ্যে ফের গোলমাল শুরু হয়। এর জেরেই কি খুন হতে হল আবেশকে? উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

গোয়েন্দারা তদন্তে নামার পরই উঠে আসতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন।  ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে CCTV ফুটেজ। অন্য বন্ধুদেরও ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। শনিবার ঘটনার পরেই সানিপার্কের বহুতলে যান হোমিসাইড শাখার আধিকারিক ও পুলিস কর্তারা। আর কোনও কিশোর বা কিশোরী এই খুনে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

 

.