কর্মসংস্কৃতি নিয়ে কঠোর হচ্ছে রাজ্য

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কর্মসংস্কৃতি নিয়ে কঠোর হচ্ছে রাজ্য। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সরকারি কর্মীদের কাউন্সেলিং চালু হতে চলেছে। সোমবার মহাকরণে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু জানিয়েছেন, কর্মসংস্কৃতির মান বাড়াতে নীচুতলার কর্মী থেকে উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক, সবারই কাউন্সেলিং করানো হবে।

Updated By: Feb 6, 2012, 10:08 PM IST

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কর্মসংস্কৃতি নিয়ে কঠোর হচ্ছে রাজ্য। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সরকারি কর্মীদের কাউন্সেলিং চালু হতে চলেছে। সোমবার মহাকরণে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু জানিয়েছেন, কর্মসংস্কৃতির মান বাড়াতে নীচুতলার কর্মী থেকে উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক, সবারই কাউন্সেলিং করানো হবে। শ্রম দফতর দিয়ে শুরু হবে কাউন্সেলিং। এর পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের সময়মতো অফিসে আসা এবং ঠিক সময়ে অফিস থেকে বেরনোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। জোড় দেওয়া হবে সবার মধ্যে দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়টিতেও। সেইসঙ্গে সরকারি কর্মীরা যাতে কোনও দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে না যায়, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য। 
 
শ্রমমন্ত্রীর এই ঘোষণায় সরকারি কর্মচারীদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এর আগে পুলিস কর্মীদের অ্যাসোসিয়েশন ভেঙে দিয়েছে রাজ্য সরকার। শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নেই। এ ব্যাপারে সরকার যে সার্ভিস রুলের সংশোধনীতে পরিবর্তন আনবে, তা-ও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সরকারি কর্মচারী সংগঠনের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ঠিকায় যে সব কর্মী নিয়োগ করছে, সেখানে তরুণ যুবক যুবতীরা সুযোগ পাচ্ছেন না। উল্টে বয়স্ক মানুষদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বহু অবসরপ্রাপ্ত কর্মী পেনসন পাচ্ছেন না। অনেকের বেতন অনিয়মিত। এই পরিস্থিতিতে কর্মী সংগঠনগুলির অভিযোগ, প্রতিবাদের হাতিয়ার কেড়ে নিতেই এই সব অনুশাসনের পথে হাঁটতে চলেছে সরকার। 
 
অন্যদিকে এ ব্যাপারে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং কর্মচারী আন্দোলন সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, সরকার যতই চাপ দিক, ২৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ ধর্মঘট থেকে তাঁরা সরছেন না।
 
 

.