উঠে গেল বইপাড়ার ধর্মঘট

ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক কে ছাপবে তানিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল। সোমবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে বিকাশভবনে বৈঠকে বসেন প্রকাশনা সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পরই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন প্রকাশকরা।

Updated By: Dec 26, 2011, 12:02 PM IST

ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক কে ছাপবে তানিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল। সোমবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ও শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে বিকাশভবনে বৈঠকে বসেন প্রকাশনা সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পরই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন প্রকাশকরা। পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের বিষয়ে ভবিষত্যে সরকার আলোচনা না করে  কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না এই আশ্বাসেই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন প্রকাশকরা। কিন্তু ভবিষ্যতে বই কে ছাপবে তা নিয়ে সরকারের তরফে কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির সব পাঠ্য পুস্তক প্রকাশনা ও বন্টনের দায়িত্ব মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করেন এই পেশার সঙ্গে যুক্ত সকলে। সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্বেও সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়ায় সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন পাঠ্যপুস্তক প্রকাশকনার সঙ্গে যুক্ত প্রকাশক সংস্থাগুলি।
ধর্মঘটের জেরে সকাল থেকেই বন্ধ ছিল বইপাড়ার অধিকাংশ দোকানপাট। সমস্যার সমাধানে সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ বিকাশভবনে পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতাদের ফোরামের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। বৈঠকের পর শ্রমমন্ত্রী জানান প্রকাশকদের অন্ধকারে রেখে  পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেনা সরকার।
প্রকাশকদের অভিযোগ  সরকার এই সিদ্ধান্ত নিলে ব্যবসায় বড় ক্ষতির সামনে পড়তে হবে তাদের। তবে এদিনের বৈঠকে সরকারের তরফে কোনও আশ্বাসই পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র সরকারের তরফে আলোচনার আশ্বাস পাওয়ার পরেই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন ধর্মঘটে সামিল হওয়া প্রকাশকরা।
ফেব্রুয়ারি মাসে এই বিষয় নিয়ে প্রকাশকরা ফের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। সেখানেই পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনা নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তবে  আগামি দিনে পাঠ্যপুস্তক কে ছাপাবে তা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সমাধান সূত্র কিন্তু উঠে সোমবারের বৈঠকেও।

.