পুলিস লকআপে পিটিয়ে হত্যা! অভিযোগ বড়তলা থানার এসআই-এর বিরুদ্ধে
ফের পুলিস লকআপে বন্দিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বড়তলা থানার এসআই বিকাশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে বড়তলা থানারই অতিরিক্ত ওসিকে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে।
ব্যুরো: ফের পুলিস লকআপে বন্দিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বড়তলা থানার এসআই বিকাশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে বড়তলা থানারই অতিরিক্ত ওসিকে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, বড়তলা থানার এলাকার নিষিদ্ধপল্লী থেকে ভূষণ দেশমুখকে গ্রেফতার করে পুলিস। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ভূষণ সিঁথিতে স্বর্ণকারের কাজ করতেন। বেআইনি অস্ত্র রাখা ও অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিস।
২১ সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হলে আটদিনের জন্য ধৃতকে হেফাজতে নেয় পুলিস।
আদালতে পুলিস জানায়, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি দেশি ওয়ান শটার এবং এক রাউন্ড গুলি।
পঁচিশে সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ছটায় পেটে ব্যথা ও বমির কারণে ভূষণকে আরজিকরে ভর্তি করে পুলিস।
ওইদিন সকাল সাড়ে দশটায় মৃত্যু হয় ভূষণের।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, মৃতের শরীরে তেরোটি আঘাতের চিহ্ণ ছিল।
এরপরই বড়তলা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই বিকাশ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় বড়তলা থানারই অতিরিক্ত ওসিকে।
তদন্ত ঘিরে প্রশ্ন। যে থানার এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই থানারই অতিরিক্ত ওসিকে কেন দেওয়া হল তদন্তভার?
এতে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব হবে কি? ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে ওই সময়ে বড়তলা থানার লক আপের সিসিটিভি ফুটেজ।
তা পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক ল্যাবেও। সূত্রের খবর, ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হতে পারে লালবাজারের গোয়েন্দাবিভাগের হোমিসাইড শাখাকে। ক্লোজ করা হতে পারে বড়তলা থানার অভিযুক্ত এসআই বিকাশ বিশ্বাসকে।
ধনেখালি থানায় পুলিস লকআপে মৃত্যু হয়েছিল তৃণমূলকর্মী কাজি নাসিরুদ্দিনের। ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধেই পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। ভূষণ দেশমুখের মৃত্যুতেও সেই একই অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধে। খাস কলকাতার বুকে এধরনের ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিল পুলিস লকআপে বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে।