Primary TET: মানিক ভট্টাচার্যকে টাকা দেয়নি তাই হয়তো মামলাকারীর চাকরি বাতিল হয়েছে, বিস্ফোরক বিচারপতি
২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ দেন মুর্শিদাবাদের যুবক মিরাজ শেখ। সার্ভিস বুক তৈরির সময় তাঁর চাকরি বাতিল করে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ফলে ৪ মাস চাকরি করার পর বেকার হয়ে যান মিরাজ
অর্ণবাংশু নিয়োগী: চার মাস চকরি করার পরও চাকরি হারিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের তরুণ মিরাজ শেখ। হারানো সেই চাকরি ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এনিয়ে হওয়া এক মামলায় আজ অত্যন্ত কড়া মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ ওই মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে টাকা দেয়নি। তাই হয়তো মামলাকারীর চাকরি বাতিল হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা রাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে টাকা না দিলে চাকরি হয় না। চার মাস চাকরি করার পর একজনের চাকরি বাতিল হয় কীভাবে? ওই মামলায় মিরাজকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়।
আরও পড়ুন-নির্বাসিত এআইএফএফ! কে কী বলছেন, দেখে নিন
২০২১ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ দেন মুর্শিদাবাদের যুবক মিরাজ শেখ। সার্ভিস বুক তৈরির সময় তাঁর চাকরি বাতিল করে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ফলে ৪ মাস চাকরি করার পর বেকার হয়ে যান মিরাজ। মুর্শিদাবাদ ডিপিএসসি জানায় প্রাথমিক বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত পদের জন্য ৪৫% কম নম্বর গ্রাজুয়েশনের অনার্সে থাকলে প্রাথমিকে চাকরি করা যায় না। সাধারণ পদের জন্য গ্রাজুয়েশন অনার্সে ৫০% নম্বর প্রয়োজন। যদিও আদালতে দাঁড়িয়ে NCTE আজ জানায় শুধুমাত্র গ্রাজুয়েশনে ৫০% নম্বর সাধারণ পরীক্ষার্থী এবং রিজার্ভ পরীক্ষার্থী জন্য ৪৫% নম্বর প্রাথমিকে চাকরির যোগ্যতামান। মামলাকারীর ৪৬% গ্রাজুয়েশন নম্বর থাকা সত্বেও চাকরি বাতিল করা হয়।
অন্যদিকে, অন্য একটি মামলায় ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ ৪২ হাজার প্রাথমিকে নিয়োগের মেধাতালিকা মামলাকারিকে খতিয়ে দেখার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে টেট পাশ না করেই প্রাথমিকে শিক্ষকের চাকরি পেয়ে যাওয়া ১৩ জনের নথি জমা পরে হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই নথি দেখার পর বৃহত্তর স্বার্থে বিচারের জন্য তা পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলায় পূর্বতন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ৪২ হাজারের নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু পরে সেই মামলা অন্য এক ডিভিশন বেঞ্চ নিষ্পত্তি করে দেয়। কিন্তু সেই সব সরকারি নথি এবার অন্য একটি নিয়োগ মামলায় আবেদনকারী দেখার অনুমতি পেল।