বাজারের আগুন এখন আরও ভয়াবহ
অগ্নিমূল্য বাজার। সরকার কেজি প্রতি আলুর দাম ১৪ টাকায় বেঁধে দিলেও তা বিকোচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। কয়েকটি বাজারে সরকারি কাউন্টার থেকে চোদ্দো টাকায় আলু মিললেও তা ফুরিয়ে যাচ্ছে চোখের নিমেষে। বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়েই ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে আলু। চড়া দাম অন্যান্য সবজিরও।
কলকাতা: অগ্নিমূল্য বাজার। সরকার কেজি প্রতি আলুর দাম ১৪ টাকায় বেঁধে দিলেও তা বিকোচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। কয়েকটি বাজারে সরকারি কাউন্টার থেকে চোদ্দো টাকায় আলু মিললেও তা ফুরিয়ে যাচ্ছে চোখের নিমেষে। বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়েই ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে আলু। চড়া দাম অন্যান্য সবজিরও।
সরকারি নির্দেশ, ১৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে আলু। কিন্তু একে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে জ্যোতি, চন্দ্রমুখী আলু বিকোচ্ছে চড়া দামে।
কোথাও কোথাও চোদ্দো টাকার আলু পাওয়া যাচ্ছে সরকারি কাউন্টারে। তবে ক্রেতাদের ভিড়ে তা শেষ হয়ে যাচ্ছে চোখের পলকে।
মানিকতলা বাজারে এমন সরকারি আলুর কাউন্টার খুঁজে পেয়েছিলাম আমরা। সেই কাউন্টার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বাগমারি বাজারে ক্রেতারা আলু কিনেছেন আগুনে দামেই।
শুধু আলু নয়, দামের কারণে শাসকসবজিতে হাত দিতেও হাজার বার ভাবতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিভিন্ন বাজারে দামও বিভিন্ন।
মানিকতলা বাজারে বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
সেখানে গড়িয়াহাট বাজারে বেগুন বিকোচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
-----------
টমেটো মানিকতলায় ৬০ টাকা কেজি।
গড়িয়াহাট বাজারে দাম কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
-------------
ঢেঁড়শ মানিকতলায় প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা।
গড়িয়াহাট বাজারে ঢেঁড়শ মিলছে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়।
কিন্তু কেন এভাবে বাড়ছে দাম? বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদার তুলনায় যোগান কম। তাই এমন অবস্থা।
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, সরকারি নজরদারি, টাস্ক ফোর্স-- সবই আছে। কিন্তু ফড়েদের দাপট কমানো গেছে কি? প্রশ্ন তুলছেন খুচরো বিক্রেতারাই। আর শাকসবজির অগ্নিমূল্যে নাভিশ্বাস ওঠা ক্রেতারা এখন অপেক্ষায়, কবে স্বস্তি মিলবে?