'রেলের গ্যারাজ-কামরা-অফিসের মধ্যে আমাকে ধর্ষণ করে'
বর্বরতার চরম নিদর্শন খাস কলকাতায়। লাগাতার গণধর্ষণ, খুনের হুমকি। চিতপুর রেল ইয়ার্ডের মধ্যেই মহিলা রেল কর্মীর ওপর নির্যাতন। অভিযোগ রেল কর্মীদের বিরুদ্ধেই। ২৪ ঘণ্টায় সুবিচারের দাবিতে মুখ খুললেন নির্যাতিতা।
কলকাতা: বর্বরতার চরম নিদর্শন খাস কলকাতায়। লাগাতার গণধর্ষণ, খুনের হুমকি। চিতপুর রেল ইয়ার্ডের মধ্যেই মহিলা রেল কর্মীর ওপর নির্যাতন। অভিযোগ রেল কর্মীদের বিরুদ্ধেই। ২৪ ঘণ্টায় সুবিচারের দাবিতে মুখ খুললেন নির্যাতিতা।
২০০১০ সালের ২৮ মে। জ্ঞানেশ্বরী ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন স্বামী। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে চিতপুর রেল ইয়ার্ডে সেই চাকরি পান তাঁর স্ত্রী। রেলের চাকরিতে যোগ দিয়েই চরম বিপদের মুখোমুখি হতে হয় স্বামীহারা অসহায় মহিলাকে।
২৪ঘণ্টাকে ওই মহিলা বলেন: সালে জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনায় আমার স্বামী মারা যায়। তারপর মমতা ব্যানার্জীর সাহায্যে আমি একটা কাজ পেয়েছি । রেলে চিৎপুর গ্যারেজে কাজ করি। ওখানে কিছু রেলের ছেলে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমার ওপর অত্যাচার শুরু করে। প্রাণে মেরে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে। ফোনে ফটো তুলে নেয়। বলে ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে। চাকরি খেয়েবে। প্রত্যেক মূহুর্তে ভয় দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করত। ধর্ষণ করে। অনেকে মিলে। চার জন মিলে। গজেন্দ্র নামে একটা ছেলে ছিল। জিৎ বলে একটা ছেলে ছিল। রাজু বলে একটা ছেলে ছিল। মনোজ বলে একজন ছিল। সবাই রেলের স্টাফ। আমরা একসঙ্গে কাজ করি।
কার কাছে যাবেন, কোথায় গেলে সুবিচার মিলবে? কোনও কিছুই জানা নেই। হুমকি আর লোকলজ্জার ভয়ে মুখ বুজেই দিনের পর দিন সহ্য করেছেন অমানুষিক অত্যাচার।
মহিলার জবান: আমি যেখানে কাজ করতাম, সেখানে গ্যারেজের মধ্যে বা ফাঁকা ঘরের মধ্যে বা ফাঁকা ট্রেনের মধ্যে। যেখেনে কাজ করতাম সেখানেই অফিসের মধ্যে হত ঘটনাগুল।
অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছিল। ধর্ষণ থেকে শুরু হল গণধর্ষণ। কাজের জায়গা হয়ে উঠল চরম আতঙ্কের।
মহিলার জবান: খারাপ অত্যাচারের ফলে আমি ভাবলাম কাজটা আমি আর করতে পারব না। আমি বাঁচতে পারবা না। প্রতি মূহুর্তে আমার ওপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে ওরা। দিনের পর দিন।