ফের তৃণমূলকে আবেদন প্রণব মুখার্জির

নাম না করে ফের তৃণমূলের কাছে সমর্থনের আবেদন জানালেন প্রণব মুখার্জি। রবিবার ঢাকুরিয়া থেকে বেলুড় রওনা হওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। যেসব রাজনৈতিক দল এখনও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি তাদের কাছে সমর্থনের আবেদন জানান প্রণব মুখার্জি।

Updated By: Jun 24, 2012, 12:38 PM IST

নাম না করে ফের তৃণমূলের কাছে সমর্থনের আবেদন জানালেন প্রণব মুখার্জি। রবিবার ঢাকুরিয়া থেকে বেলুড় রওনা হওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। যেসব রাজনৈতিক দল এখনও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি তাদের কাছে সমর্থনের আবেদন জানান প্রণব মুখার্জি। রাষ্ট্রপতি পদে লড়ার আগে আজ বেলুড় মঠে পুজো দেন তিনি। সকাল সাড়ে ১১টায় বেলুর মঠে পৌঁছন তিনি। পুজো সেরে বেরিয়ে যান বালা ১২টা ১৫ নাগাদ। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেলুড় মঠে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দেশের ভাবী রাষ্ট্রপতির আসাকে কেন্দ্র করে বেলুড় মঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মঠে সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে প্রণববাবুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ। বেলুর মঠ থেকে বেরিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
শনিবারই বীরভূম থেকে প্রণববাবু জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সমর্থনের ব্যাপারে এখনই মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ আছে বলে মনে করেন না তিনি। তবে প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিশ্চয়ই কথা বলবেন বলে জানান তিনি। তারপরই রবিবার নাম না করে তৃণমূলের কাছা সমর্থনের আবেদন জানালেন প্রণব মুখার্জি।
আগামী ২৬ তারিখ অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন প্রণব মুখার্জি। দু-একদিনের মধ্যে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি থেকেও পদত্যাগ। পাঁচ দশকেরও বেশি বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনে পালাবদলের কথা এভাবেই ঘোষণা করলেন রাষ্ট্রপতি পদে ইউপিএর প্রার্থী। ঘোষণা করলেন কীর্ণাহারের মিরাটিতে নিজের পৈতৃক ভিটেয় দাঁড়িয়ে। কিন্তু রাজনৈতিক এই সন্ধিক্ষণে এখনও তৃণমূলের সমর্থন না পাওয়ার বিষয়টিই কোথায় যেন কাঁটা হয়ে বিঁধে রইল।
প্রণব মুখার্জিকে কি সমর্থন করবে তৃণমূল? তৃণমূলের পক্ষে এখনও তেমন কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। এরমধ্যেই শনিবার মিরাটির পৈতৃক বাড়িতে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক জীবনের আসন্ন পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন প্রণববাবু। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটিই সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাত্। দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় যে গভীর সম্পর্ক কংগ্রেসের সঙ্গে, আজ তাঁকেই বলতে হচ্ছে কংগ্রেসের কেউ নন তিনি। রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেশের আগে কংগ্রেসের সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার অপেক্ষা ছিল।

.