এক সাথে চলা নয়, একে অপরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক কংগ্রেস-তৃণমূলের

ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে শহরে শক্তি পরীক্ষার লড়াইয়ে নামল কংগ্রেস ও তৃণমূল। মহাজাতি সদনে সংগঠনের ৭৯তম প্রতিষ্ঠাদিবস পালন করে ছাত্র পরিষদ। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।

Updated By: Aug 28, 2012, 03:57 PM IST

ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে শহরে শক্তি পরীক্ষার লড়াইয়ে নামল কংগ্রেস ও তৃণমূল। মহাজাতি সদনে সংগঠনের ৭৯তম প্রতিষ্ঠাদিবস পালন করে ছাত্র পরিষদ। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা।
ওই সভার কিছুক্ষণের মধ্যেই মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র পরিষদের সভায় প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন। পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য গান্ধীমূর্তির পাদদেশর সভায় চড়া সুরে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। ফের সংবাদমাধ্যমকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, টাকা দিয়ে চ্যানেল তৈরি করে মিথ্যা প্রচারে নেমেছে সিপিআইএম। ধর্ষণ ও নারী নিগ্রহ নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই ধরনের প্রচারে কোনও লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের বিরুদ্ধে কুত্সা ও অপপ্রাচারের বিরুদ্ধে ঠান্ডা মাথায় লড়াই করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসার আগে তাঁর হাত ধরেই ভাঙন ধরেছিল ছাত্র পরিষদে। সেই থেকে প্রতিবছরই ২৮অগাস্ট ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাদিবস পালন করে তৃণমূল। গতবছর, আজকের দিনে ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু, তারপর সময়ের সঙ্গে দু`দলের সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ দুই শিবিরের নেতানেত্রীরা কী বলেন তা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে সব মহলে।  
তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মহাজাতি সদনের মঞ্চকেই বেছে নিলেন কংগ্রেস নেতারা। কখনও তাঁদের আক্রমণের লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী,  কখনও সরকার। এই দিনটাকে সামনে রেখে প্রতিবারই শক্তি প্রদর্শনে নামে দুই শিবির। এবার কিন্তু প্রেক্ষাপট কিছুটা হলেও ভিন্ন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের। আর সেকারণেই আক্রমণে যেন লাগামহীন কংগ্রেস নেতা থেকে মন্ত্রীরা। উপচে পড়া মহাজাতি সদন। ছাত্রদের গলাতেও সরকার বিরোধী স্লোগান। আর সবকিছুকে ছাপিয়ে রীতিমত বিস্ফোরক অধীর চৌধুরী। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ছাড়াই লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।  ছাত্র পরিষদ নেতাদের দাবি, কলেজে-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। আর তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি দলতন্ত্র চালানোর অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি। আজ মহাজাতি সদনে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে তৃণমূল সমর্থকদের জন্য এক ধরনের আইন চালু হয়েছে, বাকিদের জন্য অন্য আইন।
সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় জেলে যেতে হয়েছিল বেলপাহাড়ির শিলাদিত্য চৌধুরীকে। আর সেই সারের দাম নিয়েই গতকাল সংসদে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদেরা। এই ঘটনা কি তৃণমূল ও তার নেত্রীর দ্বিচারিতা নয়? আজ ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এমনই চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সি।  
 

 

.