তৃণমূলে দুষ্ট চক্র, ভাল মানুষদের থাকতে দিচ্ছে না, দিল্লির পথে অভিমানী Prabir
উত্তরপাড়ায় তাঁকে হারানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছিলেন প্রবীর ঘোষাল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক আজ অতীত। বিজেপিতে যোগদানের আগে Zee ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া Exclusive সাক্ষাৎকারে সে কথা স্মরণ করলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal)। তিনি বলেন,'ব্যথা, বিষণ্ণ হৃদয় নিয়ে দিল্লি যাচ্ছি। ১৯৮৪ সালে ডিসেম্বর মাসে সাংসদ হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার আড়াই বছর আগে থেকে তাঁকে চিনি।' সেই মমতাই তাঁকে একটা ফোন করেননি বলে আক্ষেপও যাচ্ছে না বিধায়কের।
মেদিনীপুরের সভাতেই দিল্লি-কলকাতায় এক দলের সরকারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তেমনটা মনে করেন প্রবীর ঘোষালও (Prabir Ghosal)। তাঁর কথায়,'দোদুল্যমান ছিলাম। পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শের পর তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করছি। আশা করছি উন্নয়ন হবে। কেন্দ্র-রাজ্যে একটা দলের সরকার থাকলে ভাল কাজ হতে পারে। বিরোধ থাকায় উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা একটা বড় ইস্যু। শুভেন্দু অধিকারী সব জনসভাতেই এটা বলছেন। দীর্ঘদিন কেন্দ্র- রাজ্য একসঙ্গে কাজ করেনি পশ্চিমবঙ্গে। বাংলার উন্নয়নের জন্য এটা দরকার।' তাঁর আরও দাবি,পরিবর্তন চাইছেন রাজ্যের মানুষ। বিজেপি ক্ষমতায় আসবে।
উত্তরপাড়ায় তাঁকে হারানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছিলেন প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal)। সে কথাই আবার তাঁর মুখে। প্রবীরের আক্ষেপ,'লোকসভা ভোটে হুগলি জেলায় তৃণমূল ভাল ফল করেনি। দোষত্রুটি দেখানোর চেষ্টা করেছি। কানে তোলেনি দল। আমার কেন্দ্রে যাতে জিততে না পারি, তৃণমূলের তরফেই চেষ্টা শুরু হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দিয়েছিলেন অন্য জায়গায় প্রার্থী হোন। আমি ওখানকার ভূমিপুত্র। আমার বাড়ির দুর্গাপুজো সাড়ে পাঁচশো বছর পুরনো। ওখানে ছাড়া অন্য কোথাও দাঁড়াব না। আমার মনে হচ্ছে একটা দুষ্ট চক্র গ্রাস করে নিয়েছে তৃণমূলকে। ভাল মানুষদের তৃণমূলে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। মমতাকে সামনে রেখে স্বার্থসিদ্ধি করছে এক শ্রেণির লোক।'
দলের ব্যবহার নিয়েও অভিমান গোপন করেননি প্রবীর। তিনি বলেন,'২৬ জানুয়ারি প্রেস কনফারেন্স করে দলের পদ ছেড়েছি। বারবার বলেছি তৃণমূলে আছি। ১০-১৫টা ছেলেকে পাঠিয়ে গালমন্দ করল। রুচিহীন রাজনীতি করা হল। কুৎসিতভাবে প্রকাশ্যে আক্রমণ করেছে। সত্যিই এদের সঙ্গে ভদ্রলোকেরা থাকতে পারবে না।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে একটা ফোন প্রত্যাশা করেছিলেন বলেও জানান প্রবীর।
আরও পড়ুন- 'Mamata এখন অতীত, আঁচল পেতে উন্নয়ন চাইব শাহের কাছে', BJPতে যোগদানের আগে Rajib