নীরব কাণ্ডের জের! বিনিয়োগকারীদের জমি দেওয়ার আগে আরও সতর্ক রাজ্য

পিএনবি কাণ্ডের পর সতর্ক রাজ্য। বিনিয়োগকারীর জমি দেওয়ার বিষয়ে আরও সতর্ক সরকার। এখন থেকে বিনিয়োগকারীর স্বচ্ছতা বিবেচনা করেই জমি দেবে সরকার। রাজ্যের শিল্প নীতিতে নয়া এই নিয়ম সংযোজনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

Updated By: Mar 16, 2018, 11:50 PM IST
নীরব কাণ্ডের জের!  বিনিয়োগকারীদের জমি দেওয়ার আগে আরও সতর্ক রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন: পিএনবি কাণ্ডের পর সতর্ক রাজ্য। বিনিয়োগকারীর জমি দেওয়ার বিষয়ে আরও সতর্ক সরকার। এখন থেকে বিনিয়োগকারীর স্বচ্ছতা বিবেচনা করেই জমি দেবে সরকার। রাজ্যের শিল্প নীতিতে নয়া এই নিয়ম সংযোজনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

পিএনবি কাণ্ডের পর দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। দুর্নীতির এই বহর দেখে অবাক দেশের মানুষ। ঋণের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। নড়ে চড়ে বসে কেন্দ্র।

 

ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্যের জন্য শিল্প নীতি তৈরি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। জমির চরিত্র চিহ্নিত করে  তৈরি হয় ল্যান্ড ব্যাঙ্ক, ল্যান্ড ম্যাপ।  বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে বিনিয়োগকারীই জমি পছন্দের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এরপর সরকার এবং বিনিয়োগকারী সহমত হলেই জমি বিনিয়োগকারীর হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে চরম হুঁশিয়ারি দিল স্বাস্থ্য কমিশন

নীরব মোদী কাণ্ডের পর শিল্প সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক বসে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, স্বচ্ছতার মাপকাঠি দেখেই এবার থেকে জমি তুলে দেওয়া হবে বিনিয়োগকারীদের হাতে। এরপরই সিদ্ধান্ত হয়  জমি দেওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:  শহরে মাদক পাচার চক্রে নাসিক থেকে ধৃত যুবক, জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

  • প্রথমে দেখা হবে রাজ্যে বিনিয়োগে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীর কোনও ব্যাঙ্ক ঋণ আছে কিনা

 

  • ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে থাকলে সেই ঋণ শোধের ট্র্যাক রেকর্ড খতিয়ে দেখা হবে

 

  • দেখা হবে বিনিয়োগকারীর বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ আছে কিনা

 

  • বিনিয়োগকারীর আর্থিক সংস্থান কেমন, তাও বিবেচনার মধ্যে রাখা হবে

এই নয়া শর্ত পূরণের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পনীতিতে থাকা শর্তগুলি পূরণ করলে তবেই বিনিয়োগকারীকে জমি দেওয়া হবে। অর্থাত্‍ এখন থেকে সত্‍ ব্যবসায়ীকেই রাজ্যে বিনিয়োগের সুযোগ দেবে সরকার। নীরব মোদী কাণ্ডের পর কোনও রাজ্যে এমন বড় সিদ্ধান্ত এই প্রথম। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঠগ রুখতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

 

 

.