রাকেশ-পামেলার 'ঘনিষ্ঠ' WhatsApp চ্যাটে নজর তদন্তকারীদের

পুলিসের হাতে এসেছে বেশ কিছু ছবি ও এসএমএসও। 

Updated By: Feb 24, 2021, 11:40 PM IST
রাকেশ-পামেলার 'ঘনিষ্ঠ' WhatsApp চ্যাটে নজর তদন্তকারীদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোকেন কাণ্ডে পুলিসি হেফাজতে রাকেশ সিং। পামেলা গোস্বামীকে পাঠানো তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে এখন নজর তদন্তকারীদের। পুলিসের হাতে এসেছে বেশ কিছু ছবি ও এসএমএসও। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কারও হাত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্রের খবর তেমনই।
 
শুক্রবার নিউ আলিপুর থেকে কোকেন-সহ গ্রেফতার হন বিজেপির যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামী। গ্রেফতার করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুকেও। শনিবার যখন আদালতে তোলা হয়, তখন দলেরই নেতা রাকেশ গোস্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পামেলা। আদালত চত্বরে রীতিমতো গলা চড়িয়ে বলতে থাকেন, 'আমি চাই সিআইডি তদন্ত হোক। বিজেপির রাকেশ সিং-কে যেন গ্রেফতার হয়। এটা ওর চক্রান্ত। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিং যেন অ্যারেস্ট হয়। এটা ওর চক্রান্ত ছিল।' সূত্রের খবর, তদন্তে জানা যায়, পামেলাকে ফাঁসানোর জন্য তাঁর গাড়িতে কোকেন রেখেছিল অমৃক সিং ও রাজেন্দ্র যাদব নামে ২ ব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং-র (Rakesh Singh) যোগাযোগের প্রমাণও হাতে আসে তদন্তকারীদের। এরপর অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সমন জারি করে পুলিস।
 
 
ভিন রাজ্যে পালানোর পথে মঙ্গলবার রাতে বর্ধমানের গলসিতে ধরা পড়েন রাকেশ সিং। তাঁকে গ্রেফতার করা আনা হয় কলকাতা। এদিন ওই বিজেপি নেতাকে ১ মার্চ পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, মাদক-সহ যদি কেউ ধরা পড়ে, তাহলে আলাদা কথা। কিন্তু মাদক ছাড়াও কাউকে মাদক আইনে কাউকে এভাবে গ্রেফতার করা যায় না। তাহলে সমন জারির পর কেন সরাসরি রাকেশ সিং-কে গ্রেফতার করা হল? পুলিসের দাবি, কোকেনকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত পামেলা গোস্বামীর সঙ্গে ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ ছিল ধৃতের। দু'জনের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট, এসএসএম, এমনকী ছবিও হাতে এসেছে তদন্তকারীরা। সেসব খতিয়ে দেখার পর যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার তথ্য-প্রমাণ জোগাড়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। রাকেশ নিজেও কোকেন কাণ্ডে সরাসরি যুক্ত, তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণও রয়েছে।
.