প্রধানমন্ত্রীকে পাঁচ দফা দাবি পেশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারি একাধিক মন্ত্রক রাজ্যের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ তাঁর। শনিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কলকাতা সফরকালে তাঁর সঙ্গে জোড়া বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: Jun 2, 2012, 04:18 PM IST

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারি একাধিক মন্ত্রক রাজ্যের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ তাঁর। শনিবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কলকাতা সফরকালে তাঁর সঙ্গে জোড়া বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী হলে ও হেলিপ্যাডে দু`বার মুখোমুখি হন তাঁরা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যকে বিশেষ আর্থিক সুবিধা-সহ পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্ষমতা দখলের পর বছর ঘুরলেও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে কোনও আর্থিক সুবিধা আদায় করতে পারেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শাসনকালে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় কলকাতা সফরে তাঁই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল আর্থিক সুবিধার বিষয়টি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ অন্তত পাঁচটি কেন্দ্রীয় দফতর রাজ্যকে অসহযোগিতা করছে। এই তালিকায় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের নাম আছে বলেও জানা গিয়েছে।
এছাড়া পেট্রোলের বর্ধিত মূল্য সম্পুর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াংখেড়েতে শাহরুখ বিতর্কেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাহরুখ খানের ওয়াংখেড়েতে প্রবেশের ওপর মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা তুলে নিতে বিলাশরাও দেশমুখকে অনুরোধ করতে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি। আইপিএলে ম্যাচের সময় মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার জন্য নাইট কর্ণধারকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত করেছিল এমসিএ। পরে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য নিজের ব্যবহারের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েও নেন কিং খান। আগেই শাহরুখের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া সাগরমেলাকে জাতীয় মেলার মর্যাদা দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূচি মেনে শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় তাঁর দমদম নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী বিমান। রাজ্যপালের পাশাপাশি সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অমিত মিত্র-সহ কয়েকজন মন্ত্রী তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের বোস ইনস্টিটিউটে পৌঁছন। সেখানে ইউনিফায়েড অ্যাকাডেমিক ক্যাম্পাসের শিলান্যাস করেন তিনি। বোস ইনন্সিটিউট থেকে সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী। পৌনে ১২টায় সেখানে পৌঁছন তিনি। সেখানে তিনি জাতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস আয়োজিত শতবর্ষ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক দফা বৈঠক সারেন তিনি। এর পর রেসকোর্স হেলিপ্যাডের উদ্দেশ্যে রওনা হয় প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। তাঁর সেখানে আরও এক দফা বৈঠক হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দুপুর দেড়টায় দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর বিমান।

.