‘দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ মানুষ মেরে টেরর স্ট্রাইকের পরিকল্পনা’, জেরায় কবুল করল জঙ্গিরা

একেবারে বড় টার্গেট নয়, ছোট ছোট টার্গেট করে হামলার মাধ্যমে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরিই এদের মুখ্য উদ্দেশ্য।

Reported By: অর্ণবাংশু নিয়োগী | Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Sep 19, 2020, 09:06 PM IST
‘দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ মানুষ মেরে টেরর স্ট্রাইকের পরিকল্পনা’, জেরায় কবুল করল জঙ্গিরা
ফাইল ফোটো

নিজস্ব প্রতিবেদন : টেরর স্ট্রাইক! দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ মানুষ মেরে টেরর স্ট্রাইক করা! এমনটাই ছিল পরিকল্পনা। এনআইএ সূত্রে খবর, জেরায় একথা জানিয়েছে ধৃত আল-কায়দা জঙ্গিরা। রবিবার সকালে ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃত জঙ্গিদের নিয়ে দিল্লি উড়ে যাবে NIA। তার আগে আজ রাতে কলকাতার NIA অফিসেই রাখা হয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত ৬ জঙ্গিকে। দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে রাতভর সেখানেই চলবে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। জেরার নেতৃত্বে রয়েছে NIA-এর দিল্লির দল।

উল্লেখ্য, এদিন মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও জলঙ্গি থেকে ৬ আল-কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। পাশাপাশি, কেরল থেকেও গ্রেফতার হয় ৩ আল-কায়দা জঙ্গি। তদন্তে উঠে আসে যে ধৃতদের প্রত্যেকেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলার ছক কষেছিল তারা। রাজ্য থেকে সরাসরি এই প্রথম আল-কায়দা জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনায় হইচই পড়ে যায় সব মহলে। 

প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত জঙ্গিরা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করত। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করত। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমেই চলত জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করে জঙ্গি মতাদর্শ ছড়িয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হত। প্রভাবিত হয়ে গেলেই তারপর সরাসরি জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করা হত সেইসব যুবকদের।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে, এরা সবাই ছিল লোন উল্ফ। অর্থাত একক হামলাকারী। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের এভাবে লোন উল্ফ নিয়োগই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে গোয়েন্দাদের। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লোন উল্ফদের করাচি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। নির্দেশ আসামাত্রই এই লোন উল্ফরা স্থানীয় থিয়েটার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ বা বাজারে হামলা চালাত। একেবারে বড় টার্গেট নয়, ছোট ছোট টার্গেট করে হামলার মাধ্যমে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরিই এদের মুখ্য উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন, আল-কায়দা যোগে NIA-এর জালে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ৯ জঙ্গি, একনজরে চিনে নিন প্রত্যেককে

'বোমা তৈরির আঁতুড়ঘর বাংলা... পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি প্রশিক্ষণের অভিযোগ করেছিলেন হাসিনা'

.