DA Movement: মানতে হবে তিন শর্ত, আলোচনায় বসতে রাজি যৌথ মঞ্চ
অনশন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত। বকেয়া DA-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের ধরনা যদিও এখনও চলছে ধর্মতলায়। এদিকে চুপ করে বসে নেই রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে ধর্মতলায় গান্ধীমূ্তির পাদদেশে ধরনার বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাইকোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, ডিএ ইস্যুতে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে যৌথ মঞ্চের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।
অয়ন ঘোষাল: আলোচনায় বসার জন্য এবার তিনটি শর্ত যৌথ মঞ্চের। হাইকোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, ডিএ ইস্যুতে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে যৌথ মঞ্চের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। আলোচনায় রাজি থাকলেও তিনটি শর্ত আরোপ করেছে যৌথ মঞ্চ।
তাঁদের প্রথম শর্ত ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করেছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। তাঁদের দ্বিতীয় শর্ত দশ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মীদের কাছে পাঠানো শো কজ নোটিশ প্রত্যাহার করতে হবে। এর পাশাপাশি তাঁদের তৃতীয় শর্ত আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের শাস্তিমূলক বদলির নির্দেশ বাতিল করতে হবে।
১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লীর যন্তর মন্তরে ধরনা কর্মসূচি বহাল থাকছে বলেও জানা গিয়েছে। এমনকি এই দুই দিনের মধ্যে কোনও একদিন যদি রাজ্য আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানায়, এবং শর্ত মেনে নেয়, তাহলেও দিল্লীর ধরনা হবে বলে জানানো হয়েছে তাঁদের তরফে।
বকেয়া ডিএ মেলেনি এখনও। উল্টে আন্দোলনকারীদের 'চোর,ডাকাত' বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী! কেন? চিঠি পাঠানো হয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দফতরে।
অনশন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত। বকেয়া DA-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের ধরনা যদিও এখনও চলছে ধর্মতলায়। শুধু তাই নয়, হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: প্রবল শুষ্ক গরমের সতর্কবার্তা, রাজ্যে চলবে তাপপ্রবাহ! হতে পারে হিট স্ট্রোক...
এদিকে চুপ করে বসে নেই রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে ধর্মতলায় গান্ধীমূ্তির পাদদেশে ধরনার বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ধরনা মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, 'ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে চোর, ডাকাতরা বসে। যারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছে, তারাই বসে। কীভাবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে কত নিয়োগ? ব্রাত্য বসু বলব তদন্ত করতে। কারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছে, সব তদন্ত হোক। মালদহ, মুর্শিদাবাদে কত চাকরি বের করতে হবে'।
এর আগে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। যাঁরা ধর্মঘটে শামিল হয়েছিলেন, নবান্নের নির্দেশে সেইসব কর্মচারীদের ১ দিনের বেতন কাটা গিয়েছে। সঙ্গে ছুটিও।