দিল্লি থেকে এসে কিছু লোক মিথ্যে বলে যাচ্ছে; এরা শুধু দেশ ভাঙতে পারে, BJP-কে তোপ মমতার
কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা বলেন, কিছু লোক পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়ণে ঈর্ষাকাতর
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি জায়গা যেখানে সব উত্সব সমান গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। বড়দিনের উত্সব একটি শান্তির উত্সব। কলকাতার অ্যালেন পার্কে সেই উত্সবের সূচনা করে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন-Atrangi Re: মুঘল সম্রাট শাহজাহান সাজলেন Akshay Kumar, ভাইরাল ভিডিয়ো
বড়দিনের(Christmas) উত্সবের বিভিন্ন দিক নিয়ে বলার পাশাপাশি কেন্দ্রকেও এদিন নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা দেশের মধ্যে এক নম্বরে। ওইসব ক্ষেত্রে আগে রাজ্যের অবস্থান ছিল ৩০-৩৫ এর মধ্যে। বলতে খুব খারাপ লাগছে, কিছু লোক দিল্লি থেকে আসছেন আর এক পর এক মিথ্যে বলছেন। মানুষকে সত্যিটা কেন বলছেন না! গর্ব করতে বলতে পারি MSME-তে আমরা দেশে এক নম্বরে। স্কিলড সেক্টরে আমরা এক নম্বরে আছি। সড়ক যোজনা, বাংলার আবাস যোজনায় আমরা এক নম্বরে আছি।
উল্লেখ্য, রবিবার বোলপুরে একটি মেগা রোড শো করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। তার পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের একাধিক পরিসংখ্য়ান তুলে ধরে মমতা সরকারকে নিশান করেন তিনি। রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা, কর্ম সংস্থান নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। আজ নাম না করে তাকেই টার্গেট করলেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, এই সরকার যখন রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল তখন ইনস্টিটিউশন ডেলিভারি রেট ছিল ৬৫ শতাংশ। আর গত ৮ বছরে তার বেড়ে হয়েছে ৯৯ শতাংশ। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে। বাংলা স্বাস্থ্য, খাদ্য সাবার জন্য ফ্রি। শিক্ষাক্ষেত্রে কন্যাশ্রী(Kanyashree) থেকে ঐক্যশ্রী-সহ একাধির প্রকল্প চালু করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প রাষ্ট্র সংঘের(UN খেতাব পেয়েছে। সবুজ সাথী প্রকল্পে পড়ুয়াদের সাইকেল দেওয়া হয়েছে। ১২ লাখ পড়ুয়াকে ট্যাব(Tab) দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে রাজ্য সরকার। মৃতদেহ সত্কারের জন্য কারাও টাকা না থাকলে তাকেও সাহায্য করছে সরকার।
আরও পড়ুন-'কাঁথি চলো'র ডাক TMC-র, 'এরা আমাদের সমকক্ষ নয়', কটাক্ষ কণিষ্ক পন্ডার
কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা বলেন, কিছু লোক পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রকল্প ও উন্নয়ণে ঈর্ষাকাতর। এরা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে না। এরা আইন ভাঙে। এরা শুধু দেশ ভাঙতে পারে। বলুন, যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিনে কেন জাতীয় ছুটি থাকবে না। গত বছরও একই কথা বলেছিলাম। প্রত্যেকের ভাবাবেগ রয়েছে। আমদের রাজ্যে ওই দিন ছুটি থাকে। আর কেন্দ্রে বিজেপি(BJP) সরকার এল আর ওই দিনের ছুটি বাতিল করে দিল। কেন? প্রকৃত অর্থে কি আমাদের দেশে ধর্ম নিরপেক্ষতা রয়েছে! না। এক জটিল ধর্মীয় ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।