'রিজ' কাণ্ডের ছায়া? পাতিপুকুরের রেললাইনে প্রিয়জিত্ কুমারের নিথর দেহ, তদন্তে পুলিস
পাতিপুকুর রেললাইন থেকে উদ্ধার এক যুবকের দেহ। নাম প্রিয়জিত্ কুমার। শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন। কাজ করতেন সল্টলেকের একটি বেসরকারি হোটেলে। থাকতেন দুর্গানগরের একটি ভাড়াবাড়িতে।
ওয়েব ডেস্ক:পাতিপুকুর রেললাইন থেকে উদ্ধার এক যুবকের দেহ। নাম প্রিয়জিত্ কুমার। শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন। কাজ করতেন সল্টলেকের একটি বেসরকারি হোটেলে। থাকতেন দুর্গানগরের একটি ভাড়াবাড়িতে।
হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাস করে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হোটেলে কাজ করতেন ধনেখালির বাসিন্দা প্রিয়জিত্ কুমার। দুর্গানগরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার রাতে প্রিয়জিতের দেহ বিধাননগর ও দমদমের মাঝে রেললাইনে প্রথম দেখতে পান রেলের লাইনম্যানরা। তাঁরাই খবর দেন দমদম স্টেশনে। স্টেশন কর্তৃপক্ষ মেমো পাঠায় জিআরপিতে। প্রিয়জিতের মায়ের দাবি, ওইদিন সন্ধেতেও প্রিয়জিতের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তখন এক সহকর্মীর বিয়েতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন প্রিয়জিত্। তাঁকে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। দমদম GRP-তে অভিযোগও দায়ের করা হয়।
শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে জানা যায়, ওই রাতে ওই লাইনে চলা কোনও ট্রেনের চালক বা গার্ডই প্রিয়জিতের দেহ নিয়ে কোনও রিপোর্ট লেখাননি। রাত সাড়ে এগারোটার পর যতগুলি ট্রেন ওই লাইন দিয়ে গিয়েছে সবকটির চালক ও গার্ডকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু কোনও চালক বা গার্ড প্রিয়জিতকে নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেননি। প্রিয়জিতের পকেটে মেলে একটি রেস্তোরাঁর ডিনার বিল। সেখানকার CCTV ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা জানতে চান, সেই রাতে প্রিয়জিতের সঙ্গে কে ছিলেন। দমদম GRPকে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় প্রিয়জিতের নিথর দেহ। প্রিয়জিতের মৃত্যু যদি দুর্ঘটনা হয় তাহলে পাতিপুকুরের রেললাইনে তিনি পৌছলেন কী করে ? ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হলে দুই লাইনের মাঝে দেহ এল কী করে? প্রিয়জিত্ আত্মহত্যা করলে কেন সেই পথে এগোলেন তিনি?