রোগীর ভাত-মাংস দেদার বিকোচ্ছে ২০ টাকায়, কলকাতা মেডিক্যালে চলছে খাবার চুরি!
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, একজনের খাবারকে দুভাগ করা হচ্ছে। অর্ধেকটা দেওয়া হচ্ছে রোগীকে। আর বাকিটা বিক্রি করা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মাত্র ২০ টাকা দিলেই মিলছে মাংস, ভাত, ডাল, তরকারি। রোগীর পথ্য চুরি করে চলছে দেদার বিক্রি। এমনই ছবি ধরা পড়ল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজিতে। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্মীদের একাংশ যাঁরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রোগীদের কাছে খাবার পৌঁছে দেন, তাঁরাই রোগীদের খাবার চুরি করে রোগীর পরিবারের লোকজনকে বিক্রি করছেন। পরিজনদের আরও অভিযোগ, অনেক সময় জোর করেও তাঁদের হাতে খাবার ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, '২০ টাকা দিন, খাবার নিন।'
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, একজনের খাবারকে দুভাগ করা হচ্ছে। অর্ধেকটা দেওয়া হচ্ছে রোগীকে। আর বাকিটা বিক্রি করা হচ্ছে। রোগীর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাপ মতো খাবার রোগীকে দেওয়া হচ্ছে না। রোগীর আত্মীয়দের কয়েকজন গোটা বিষয়টি ভিডিয়ো করেন নিজের মোবাইলে। সেই ফুটেজ নার্সদের দেখান। ফুটেজ দেখানো হয়, আরআইও-র ডিরেক্টরকেও। ছবি দেখিয়ে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেন রোগীর পরিবারের আত্মীয়রা। পরিজনরা জানিয়েছেন, তাঁদের লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয় কর্তৃপক্ষের তরফে।
কিন্তু রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি থাকায়, ক্ষতির আশঙ্কায় তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদেরকে লিখিত অভিযোগ করার কথা বলা হল একদিকে, অন্যদিকে তাঁরা ছবি দেখিয়ে চিহ্নিত করে দেওয়া সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাহলে কি হাসপাতালের ভিতরেই কোনও বড় চক্র কাজ করছে? প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর পরিজনরা।
আরও পড়ুন, 'সকালে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সামনে ২ মিনিট দাঁড়ালে অদ্ভুত শক্তি পাবেন', দাবি আবেগতাড়িত বিডিওর
এই ঘটনা সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে ডিরেক্টর অসীম ঘোষ বলেন, "খাবার মেডিক্যাল কলেজের কিচেন থেকে আসে। সেখানকার সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে জানিয়েছি।" ইন্দ্রনীল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "বিষয়টি শুনেছি। কম পয়সায় কেউ হয়তো খাবার কেনেন। গর্হিত অপরাধ। লিখিত অভিযোগ এলে এদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যাবস্থা নেব।"