জমি ইস্যুকে গুরুত্ব না দিয়ে সৌগতকে একহাত পার্থর
রাজ্যে শিল্পায়নে জমি কোনও সমস্যা নয়। সমস্যা হল বিনিয়োগ প্রস্তাব না আসাটাই। এই সত্যিটাই কার্যত স্বীকার করে নিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের জমিনীতি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি।
রাজ্যে শিল্পায়নে জমি কোনও সমস্যা নয়। সমস্যা হল বিনিয়োগ প্রস্তাব না
আসাটাই। এই সত্যিটাই কার্যত স্বীকার করে নিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ
চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের জমিনীতি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কেও কটাক্ষ করতে
ছাড়েননি তিনি।
শিল্পায়নের জন্য জমি সমস্যার চটজলদি সমাধান করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। জমির জন্য কোনও শিল্পপতি অপেক্ষা করে থাকবেন না। শনিবার বণিকসভার এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের জমিনীতিকে আরও একবার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে একথা বলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বারবার অধ্যাপক সাংসদের এরকম সমালোচনায় রাজ্য সরকার যে রীতিমতো অস্বস্তিতে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল রবিবার শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যেই।
শিল্পায়নের জন্য রাজ্য সরকারের জমিনীতি নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধন। শনিবারই তিনি জমি অধিগ্রহণে সরকারের সামিল হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। শিল্পমন্ত্রী অবশ্য সেকথা মানতে নারাজ।
অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধনের মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে কার্যত বড় একটা সত্যকেই স্বীকার করে নিলেন শিল্পমন্ত্রী। মেনে নিলেন রাজ্যে বিনিয়োগ প্রস্তাবই আসছে না। সেই মন্তব্য তামতের সমালোচনা করতে গিয়ে রাজ্যের শিল্প উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা না কাটলেও জমিনীতি নিয়ে নিজের অবস্থানে এখনও অনড় সৌগত রায়। এদিকে শনিবারই অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধন বলেন, সরকার জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় সামিল না হলে কৃষকরা জমির ন্যায্য মূল্য পাবেন না।
আর এই সমালোচনার জবাব দিতে গিয়েই কার্যত রাজ্যের জমি সমস্যা নিয়ে সত্যিটা স্বীকার করে নিলেন স্বয়ং শিল্পমন্ত্রীই। গত ২২ মাসে বড় কোনও বিনিয়োগের মুখ দেখেনি তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। যদিও, সরকারের দাবি একাধিক প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু, শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট, জমিনীতির আসল অসুখটা জমি না, প্রস্তাব।