পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষণই, কি বলছেন বিশিষ্টজনেরা

অবশেষে পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের জট খুলে পুলিস জানাল ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ধর্ষণই হয়েছিলেন মহিলা। পার্কস্ট্রিটের ঘটনায় মহিলার অভিযোগকে মিথ্যা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নগরপালও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যুগ্ম কমিশানার দময়ন্তী সেন দাবি করলেন মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ সত্যি। ধর্ষণকাণ্ডে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আরও দুজনের খোঁজ চলছে। ঘটনাটি সম্পর্কে কি প্রতিক্রিয়া এই শহরের বিশিষ্টজনদের?

Updated By: Feb 18, 2012, 11:05 PM IST

অবশেষে পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের জট খুলে পুলিস জানাল ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ধর্ষণই হয়েছিলেন মহিলা। পার্কস্ট্রিটের ঘটনায় মহিলার অভিযোগকে মিথ্যা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নগরপালও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যুগ্ম কমিশানার দময়ন্তী সেন দাবি করলেন মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ সত্যি। ধর্ষণকাণ্ডে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আরও দুজনের খোঁজ চলছে। ঘটনাটি সম্পর্কে কি প্রতিক্রিয়া এই শহরের বিশিষ্টজনদের?

কৌশিক সেন: প্রথমে আমি মিডিয়াকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তারা উঠেপড়ে লেগেছিল ঘটনার সত্য প্রমাণের জন্য। প্রশাসনের একটা অংশ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, যা লজ্জাজনক। ধর্ষণের ঘটনাটির থেকেও সেটা বেশি লজ্জাজনক। আমি ঐ মহিলার সাহসকে সাধুবাদ জানাই। কলকাতা পুলিসের এক অংশও ঘটনাটির তদন্তে লেগেছিল, তাদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। আমাদের সকলের কাছে ঘটনাটি একটি বড় দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই সাহস করে ভয় না পেয়ে বলতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে মহিলা প্রতিকার পেলেন। প্রশাসনের কাছে আমার একটাই অনুরোধ পরবর্তী সময়ে এরকম কোনও মন্তব্যের আগে সতর্ক হওয়া জরুরী।

সুচিত্রা ভট্টাচার্য: আমি প্রথম থেকেই বলছি মেয়েটি যখন বলছে যে সে ধর্ষিত, তখন সে সত্যিই ধর্ষিত। আমাদের সমাজে মেয়েরা নিরাপত্তার অভাবে ভোগে, তা সত্ত্বেও মেয়েটি সাহস করে বলতে পেরেছে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। হয়তো তাঁর প্রথমে চিনতে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। এই মেয়েটি যে সাহস করে বলতে পেরেছে এবং জেরার মুখেও লড়ে গেছে সেইজন্য আমি তাঁকে সাধুবাদ জানাই। তাঁর মৌলিক অধিকার আছে। সে যেখানে খুশী যেতে পারে। যারা প্রথমেই তার চরিত্র পোশাক নিয়ে কথা বলেছে তাঁদের এটাও দেখা উচিত্‍ সে কেন ধর্ষিত। তাদের এখন দেখা উচিত্‍ যাতে অপরাধীরা উপযুক্ত শাস্তি পায়। রাজনীতিকে এই ঘটনার মধ্যে না আনাই ভালো। বাম-ডান যে কোনও আমলেই এরকম ঘটনা ঘটতে পারে।

বাদশা মৈত্র: আমার ঘটনাটি সম্পর্কে দুটি প্রতিক্রিয়া। এক, ঘটনাটা প্রশাসনের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিসের নিজের উদ্যোগে মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত্‍ ছিল। দুই, প্রশাসনের একাংশ ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, সেই অবস্থায় পুলিস তদন্ত চালিয়ে সত্যকে উদঘাটন করতে পেরেছে। এরকম ঘটনা সবার সঙ্গেই হতে পারে। প্রশাসনকে আরো সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে ঘটনার ধামা চাপা না দিয়ে।

.