কী হবে পঞ্চায়েত ভোটের ভাগ্য? সবার নজর শীর্ষ আদালতের রায়ের দিকে
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত জানতে সবপক্ষের নজর এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। কালই রায় ঘোষণা করে দিতে পারে সর্বোচ্চ আদালত। ভোট স্থগিত করে দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ভোট করাতে বাহিনী-জট কাটানো জরুরি। তা কীভাবে করবে সুপ্রিম কোর্ট, সেই প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত জানতে সবপক্ষের নজর এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। কালই রায় ঘোষণা করে দিতে পারে সর্বোচ্চ আদালত। ভোট স্থগিত করে দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ভোট করাতে বাহিনী-জট কাটানো জরুরি। তা কীভাবে করবে সুপ্রিম কোর্ট, সেই প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত জানতে সবপক্ষের নজর এখন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। কালই রায় ঘোষণা করে দিতে পারে সর্বোচ্চ আদালত। ভোট স্থগিত করে দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ভোট করাতে বাহিনী-জট কাটানো জরুরি। তা কীভাবে করবে সুপ্রিম কোর্ট, সেই প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে।
পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যত এখন সুপ্রিম কোর্টের হাতে। শুক্রবারই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে সেই ছবি। সম্ভাবনা যেমন একাধিক, জটিলতাও হাজারো।
কী হতে পারে? ভোট আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট।
তবে তাহলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেবে।
সমস্যা ১ ইতিমধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েতগুলির কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়েছে। এখনই ভোট না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দেবে।
সমস্যা ২ যে প্রার্থীরা ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন, তাঁদের ভবিষ্যত কী হবে?
সমস্যা৩ ভোটের প্রস্তুতিতে ইতিমধ্যে প্রায় একশো তেষট্টি কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। ভোট না হলে পুরো টাকাটাই জলে যাবে।
সমস্যা ৪ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা, ভর্তি স্থগিত রাখা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য। ভোট এখন না হলে জটিলতা আরও বাড়বে।
এইসমস্ত সমস্যার কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রায় যাবে ভোটের পক্ষে।
কিন্তু সেখানেও বাধা সেই বাহিনী। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে স্পষ্ট জানিয়েছে, বাহিনী-সমস্যা মেটাতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
রাজ্যেরও স্পষ্ট জবাব, রাজ্য যে হিসেব দিয়েছে তার বাইরে অতিরিক্ত বাহিনী দেওয়া তাঁদের পক্ষে অসম্ভব।
ভিন রাজ্য থেকেও বাহিনী পাওয়া কার্যত অসম্ভব। তাঁদের জবাব ইতিমধ্যে এসে গিয়েছে। ভোটের পথে এই বাহিনী-কাঁটা তাহলে কীভাবে দূর করবে সুপ্রিম কোর্ট?
কেন্দ্রীয় সরকারকে বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু উত্তরাখণ্ড সহ নানা সমস্যায় কেন্দ্রের পক্ষেও এখন যথেষ্ট বাহিনী পাঠানো কার্যত অসম্ভব। ফলে বাড়তে পারে ভোটের দফা।
রাজ্যের বাহিনী দিয়েই ভোট করানোর কথা বলতে পারে সর্বোচ্চ আদালত। সেক্ষেত্রেও ভোটের দফা বাড়িয়ে তার সঙ্গে বাহিনীর সংখ্যা সামাল দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে।
যে কোনও অবস্থাতেই ভোটের দফা বাড়ানো ছাড়া সমাধানের পথ খোলা নেই বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে।
তবে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দিলেও পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দোসরা জুলাই প্রথম দফার ভোট হওয়া বাস্তবে কার্যত অসম্ভব। মাঝে তিন দিনের মধ্যে বাহিনীকে নির্দিষ্ট জেলায় পৌঁছে দেওয়া কমিশনের পক্ষে অসম্ভব। নিয়ম অনুযায়ীও, ভোটের তিন দিন আগে বাহিনী মোতায়েন হয়ে যাওয়ার কথা।
সবমিলিয়ে ভোটের দিনে যে ফেরবদল হতে চলেছে সেসম্পর্কে একপ্রকার নিশ্চিত সবপক্ষই।