সাউথ সিটি মলের আগুন নিয়ন্ত্রণে কামাল করল অক্সিজেন মাস্ক

একদিকে মল কর্তৃপক্ষের দক্ষতা, অন্যদিকে দমকলের তত্‍পরতা দুইয়ের যোগফলে সহজেই  সবমিলিয়ে কাজ । কামাল করল অক্সিজেন মাস্ক। রবিবার এই অক্সিজেন মাক্স পড়েই সাউথ সিটির আগুন কয়েক মিনিটে মুঠোবন্দি করে ফেললেন দমকল কর্মীরা।আর পাঁচটা ক্ষেত্রে আগুনের উত্স সন্ধানে  দমকল কর্মীদের সামনে বাধা হয় ধোঁয়া। এখানে কিন্তু আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামে দমকল কর্মী। ধোঁয়া মোকাবিলায় অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মুখে মাস্ক পড়ে মলের ভিতরে ঢুকে পড়েন কর্মীরা। ফায়ার মাস্ক কী? আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ফায়ার মাস্ক।ধোঁয়ায় মিশে থাকা কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড,অ্যামোনিয়া ও অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাস থেকে দমকল কর্মীদের রক্ষা করে ফায়ার মাস্ক।আগুন লাগার ফলে তৈরি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও মাস্কের ভূমিকা রয়েছে। অক্সিজেন মাস্ক থাকায় সহজেই  তিনতলায় ফুড প্লাজায় আগুনের এপিসেন্টারে পৌছে যান ফায়ার ফাইটাররা। ২১টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় কয়েক মিনিটে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে আগুন।

Updated By: Dec 4, 2016, 07:04 PM IST
সাউথ সিটি মলের আগুন নিয়ন্ত্রণে কামাল করল অক্সিজেন মাস্ক

ওয়েব ডেস্ক: একদিকে মল কর্তৃপক্ষের দক্ষতা, অন্যদিকে দমকলের তত্‍পরতা দুইয়ের যোগফলে সহজেই  সবমিলিয়ে কাজ । কামাল করল অক্সিজেন মাস্ক। রবিবার এই অক্সিজেন মাক্স পড়েই সাউথ সিটির আগুন কয়েক মিনিটে মুঠোবন্দি করে ফেললেন দমকল কর্মীরা।আর পাঁচটা ক্ষেত্রে আগুনের উত্স সন্ধানে  দমকল কর্মীদের সামনে বাধা হয় ধোঁয়া। এখানে কিন্তু আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামে দমকল কর্মী। ধোঁয়া মোকাবিলায় অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মুখে মাস্ক পড়ে মলের ভিতরে ঢুকে পড়েন কর্মীরা। ফায়ার মাস্ক কী? আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ফায়ার মাস্ক।ধোঁয়ায় মিশে থাকা কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড,অ্যামোনিয়া ও অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাস থেকে দমকল কর্মীদের রক্ষা করে ফায়ার মাস্ক।আগুন লাগার ফলে তৈরি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও মাস্কের ভূমিকা রয়েছে। অক্সিজেন মাস্ক থাকায় সহজেই  তিনতলায় ফুড প্লাজায় আগুনের এপিসেন্টারে পৌছে যান ফায়ার ফাইটাররা। ২১টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় কয়েক মিনিটে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে আগুন।

আরও পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল রাজ্য বিজেপি

ঘটনার সূত্রপাত সকাল নটা দশে।ফুড প্লাজার পিছনের পার্কিং লটের নিরাপত্তী রক্ষীরা প্রথম কালো ধোঁয়া দেখতে পান। নিমেশে ছড়ায় আতঙ্ক। অত সকালে মলের দোকানপাট না খুললেও, মাল্টিপ্লেক্সে মুভি চলছিল। ছুটির সকালে হাজির ছিলেন জনা ৭০ দর্শকও। শো বন্ধ করে সবাইকে নামিয়ে আনা হয়।আগুনের উত্সের খোঁজ শুরু করেন মলের নিরাপত্তা কর্মীরাই।  কিন্তু, সমস্যা তৈরি করে ঘন কালো ধোঁয়া। কয়েক মিনিটের মধ্যে গোটা মল চত্বরই ধোঁয়ায় ভরে যায়। আতঙ্ক ছড়ায় পাশের আবাসনেও। মলের সামনের রাস্তা যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। মিনিট দশেকের মধ্যে পৌছে যায় দমকল। শুরুতেই ৫টি ফায়ার টেন্ডার ও তিনটি ল্যাডার আসে।  মলের গুরুত্ব বিচার করে বাড়ানো হয় ফায়ার টেন্ডারের সংখ্যা। দশটার মধ্যে মলের দরজায় পৌছে যায় ২১ টি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়।  বারোটার কিছু পর সাউথসিটিকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়।আর আগাগোড়া সাউথসিটিতে হাজির থেকে তদারকি করেন দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন পুলিসের উচ্চ পদস্থ কর্তারাও। প্রাথমিক অনুমান, ফুড কোর্টের ফলস সিলিংয়ের ওপরে ইলেট্রিক্যাল ওয়্যারিংয়ে শট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। যদিও নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে ফরেন্সিক টিম। 

আরও পড়ুন  পারফেক্ট অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা আর প্রশিক্ষিত কর্মীদের যুগলবন্দিতে বিপর্যয় এড়ালো সাউথ সিটি

.