সৈকত ও রোহিতের শরীরে 'বেঁচে রইলেন' সুমিতা
গ্রিন করিডর করে আর এন টেগোর হাসপাতাল থেকে ইএম বাইপাস হয়ে মা উড়ালপুল হয়ে পার্ক সার্কাস -এজেসি বোস উড়ালপুল হয়ে এসএসকেএমে পৌছয় অঙ্গ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের মরণোত্তর অঙ্গদানের সাক্ষী হল মহানগরী। নয়াবাদের বাসিন্দা সুমিতা বোসের কিডনি ও লিভার দান করল তাঁর পরিবার । হৃদযন্ত্রের অবস্থা ভাল না হওয়ায় সেটি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
মন্তেশ্বরী স্কুল শিক্ষিকা সুমিতা বোস ২২ জানুয়ারি ম্যাসিভ ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তাঁকে আর এন টেগোরে ভর্তি করা হয়। ২৫ জানুয়ারি হাসপাতাল জানায় ব্রেন ডেথের দিকে এগোচ্ছেন সুমিতা। তখনই পরিবারকে অঙ্গদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কিডনি, লিভার ও হার্টের গ্রহীতার তালিকা চাওয়া হয়। এসএসকেএম জানিয়ে দেয়, কিডনি ও লিভারের গ্রহীতা তাদের কাছে রয়েছে।
আরও পড়ুন, আগুন নেভাবে এবার অত্যাধুনিক রোবট
এরপর শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ সুমিতা বোসের ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হয়। তারপরই এসএসকেএম ও আর এন টেগোরের একদল বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক কিডনি ও লিভার সংগ্রহের কাজ শেষ করেন। দুপুর ২টো ৫ নাগাদ কিডনি ও লিভার নিয়ে দুটি কনভয় এসএসকেএমের উদ্দেশে রওনা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। গ্রিন করিডর করে আর এন টেগোর হাসপাতাল থেকে ইএম বাইপাস হয়ে মা উড়ালপুল হয়ে পার্ক সার্কাস -এজেসি বোস উড়ালপুল হয়ে এসএসকেএমে পৌছয় লিভার। তার মিনিট চারেকের মধ্যেই এসে পৌছয় কিডনি।
আরও পড়ুন,"রাজনৈতিক প্রভাব না মানলে, কাজ পাবে না", SVF কর্ণধারের গ্রেফতারিতে বিস্ফোরক অভিনেত্রী
সুমিতার লিভার প্রতিস্থাপন হয় হাওড়ার বাসিন্দা সৈকত রায়চৌধুরীর শরীরে। মুর্শিদাবাদের রোহিত মিশ্রর শরীরে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। মৃত্যুতেই যে সব শেষ নয়, সল্টলেকের নয়াবাদের বাসিন্দা সুমিতা বোসের ক্ষেত্রে একথা আরও একবার সত্যি হল।