ফেরাল হাসপাতাল, যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা ছেলের, তা দেখে মৃত্যু বাবারও!

পরিবারের অভিযোগ, চিকিত্সা করাতে না পারায় যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৫ বছর আগে গোপাল মণ্ডলের জীবনে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। ডান পায়ে মারাত্মক চোট পান তিনি।

ফেরাল হাসপাতাল, যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা ছেলের, তা দেখে মৃত্যু বাবারও!
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: অসহ্য পায়ের যন্ত্রণা,  হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও বিনা চিকিত্সায় ফেরত আসা, সরকারি হাসপাতালে 'করোনা-ভয়' আর বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে না পারায় ব্যর্থতা- আত্মহত্যার পথ বেছে  নিলেন এক প্রৌঢ়।  খোদ কলকাতার বুকে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা।

গোপাল মণ্ডল (৫৯) হরিদেবপুরের ধারাপাড়ার বাসিন্দা। রবিবার সকালে বাড়িরই পরিত্যক্ত ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।  পরিবারের অভিযোগ, চিকিত্সা করাতে না পারায় যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৫ বছর আগে গোপাল মণ্ডলের জীবনে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। ডান পায়ে মারাত্মক চোট পান তিনি।

এরপর তাঁর পায়ে প্লেট বসাতে হয়। ইদানীং সেই পায়েই যন্ত্রণা বেড়ে গিয়েছিল তাঁর। শনিবার তাঁকে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান। অভিযোগ, জরুরি বিভাগে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। এরপর ডাক্তার না আসায় তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

সরকারি হাসপাতালে করোনা সংক্রমণের ভয় ছিল পরিবারের মনে। আর বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতন আর্থিক অবস্থাও তাঁদের নেই। বাধ্য হয়েই স্ত্র্রীর হাত ধরে বাড়ি ফিরে আসতে হয় গোপালবাবুকে। এরপর সকলের চোখের আড়ালে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ!
ছেলে আত্মহত্যা করেছে জানা মাত্রই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা ভূতনাথ মণ্ডল। স্ট্রোক হয়ে মৃত্যু হয়ে তাঁরও। একই দিনে দুটি মর্মান্তিক ঘটনায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।

আরও পড়ুন: আচমকাই বিকট শব্দ, ভেঙে গুড়িয়ে গেল মাংসের দোকান, ভিতরের ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা!

এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ফের চিকিত্সা পরিষেবা। পরিবারের অভিযোগ, যদি হাসপাতাল ভর্তি নিয়ে নিত, তাহলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না।

.