সর্ষের মধ্যে ভূত, নজরদারী অফিসাররা মাসোহারা নিতেন সুদীপ্তর থেকে
আদালতের অনুমতি নিয়ে এই প্রথম সারদাকাণ্ডের তদন্তে হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ সিরিয়াস ফ্রড ইনভেসটিগেটিং অর্গানাইজেশনের দুই কর্তা পুলিসের থেকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি বিস্তারিতভাবে জানেন। একইসঙ্গে সুদীপ্তকে জেরায় জানা গিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের যাঁদের এই বেআইনি চিটফাণ্ডের ওপর নজর রাখারা কথা ছিল তাঁরা নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে আদতে সুদীপ্ত সেনকেই সহযোগিতা করেছেন।
আদালতের অনুমতি নিয়ে এই প্রথম সারদাকাণ্ডের তদন্তে হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ সিরিয়াস ফ্রড ইনভেসটিগেটিং অর্গানাইজেশনের দুই কর্তা পুলিসের থেকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি বিস্তারিতভাবে জানেন। একইসঙ্গে সুদীপ্তকে জেরায় জানা গিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের যাঁদের এই বেআইনি চিটফাণ্ডের ওপর নজর রাখারা কথা ছিল তাঁরা নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে আদতে সুদীপ্ত সেনকেই সহযোগিতা করেছেন।
সাধারণ মানুষদের টাকা আত্মসাত্ করতে বেশ আঁটঘাঁট বেঁধেই কাজ শুরু করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের যেসমস্ত সংস্থার ওপর দায়িত্ব ছিল এই বেআইনি চিটফান্ডের ওপর নজরদারির উল্টে তাদেরকেই কার্যত নিজের কর্মী করে নিয়ে ছিলেন সারদাকর্তা। মোটা টাকা মাসোহারার বিনিময়ে রক্ষকই হয়ে উঠেছিল ভক্ষক। অর্থাত্ আর্থিক দুর্নীতির ওপর নজরদারির বদলে তাঁরা ছিলেন বেআইনি চিটফান্ডের উপদেষ্টা। কে নেই সেই তালিকায়?
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ননব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানির অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার, সেবির একজন শীর্ষকর্তা, রাজ্য অর্থ দফতরের এক অফিসার, আয়কর দফতরের এক কর্তা। ছিলেন কয়েকজন আমলা এবং পুলিকর্তাও।
অর্থাত্ রাজনৈতিক নেতাদের মদতে এবং এই সমস্ত কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কর্তাদের সহযোগীতায় যথেচ্ছ বেআইনি কাজ করেছেন সারদাকর্তা। এঁদের অনেকের সঙ্গেই তাঁর যোগাযোগ করিয়ে দেন এক ক্লাবকর্তা। আরবিআইয়ের কর্তার সঙ্গেও তিনিই সুদীপ্ত সেনের যোগাযোগ করিয়ে দেন। আরবিআইয়ের ওই অবসরপ্রাপ্ত অফিসারকে শুক্রবার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। গোয়ন্দারা জানতে পরেছেন বর্তমানে তিনি অবসর নিলেও চাকুরিরত অবস্থাতেই সুদীপ্ত সেনের থেকে মোটা টাকা মাসোহার নিতেন তিনি। অন্যদিকে সারদাকাণ্ডের সম্পত্তি সংক্রান্ত তদন্তে হিমাচল প্রদেশের সিমলায় একশো বিঘা জমির হদিশ পেয়েছে পুলিস। চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে এবার নড়চড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকারও। শুক্রবারই তদন্তের গতিপ্রকৃতির বিষয়ে বিধাননগর পুলিসের থেকে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের দুই আধিকারিক। এর আগে তদন্ত সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বিধাননগর মহকুমা আদালতে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রকের অধীনস্থ সিরিয়াস ফ্রড ইনভেসটিগেটিং অর্গানাইজেশন। সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় শুক্রবারই এসএফআইওর দুই আধিকারিক প্রথমবারের জন্য মামলা সম্পর্ক খোঁজখবর নেন বিধাননগর পুলিসের থেকে।