প্রশ্নের মুখে আয়া সেন্টারের বিশ্বাসযোগ্যতা
বয়স্ক বাবা-মা কিংবা চারকিজীবী দম্পতির সন্তানদের দেখাশোনার জন্য শহর ও শহরতলিতে পরিচারিকার চাহিদা এখন তুঙ্গে। যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে আয়া সেন্টার। কিন্তু এই ধরনের সংস্থা থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁরা কতটা নির্ভরযোগ্য? সম্প্রতি গড়িয়ায় একটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে আয়া সেন্টারের বিশ্বাসযোগ্যতা।
ওয়েব ডেস্ক: বয়স্ক বাবা-মা কিংবা চারকিজীবী দম্পতির সন্তানদের দেখাশোনার জন্য শহর ও শহরতলিতে পরিচারিকার চাহিদা এখন তুঙ্গে। যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে আয়া সেন্টার। কিন্তু এই ধরনের সংস্থা থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁরা কতটা নির্ভরযোগ্য? সম্প্রতি গড়িয়ায় একটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় প্রশ্নের মুখে আয়া সেন্টারের বিশ্বাসযোগ্যতা।
গড়িয়ার বাসিন্দা সঙ্গীত পরিচালক শান্তনু বোস এবং তাঁর চিকিত্সক স্ত্রী শ্রীপর্ণা বোস। পেশাগত কারণে দুজনেরই ব্যস্ততা দিনভর। বৃদ্ধা মা এবং সাড়ে তিন বছরের মেয়েকে দেখার জন্য পঁচিশ তারিখ জলি দাস নামে এক পরিচারিকাকে নিয়োগ করে বোস পরিবার। এমাসের সাতাশ তারিখ রাত আটটা নাগাদ তাঁদের মেয়েকে প্রতিবেশীর বাড়িতে রেখে, বাড়ি চলে যান ওই পরিচারিকা।
রাত নটা নাগাদ শান্তনু বোসের ফ্ল্যাটে যান ওই প্রতিবেশী। দেখেন, অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে শান্তনুবাবুর মা, সাতাত্তর বছরের বাসন্তী বোস। খবর পেয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন বোস দম্পতি। দেখেন, বেডরুমের আলমারি খোলা, জামাকাপড় তছনছ। শান্তনু বসুর অভিযোগ, নগদ দশ হাজার টাকা এবং সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে ওই আয়া। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর নেতাজি নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শান্তনু বোস। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে যে এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের পাঁচ তারিখ ওই বাড়িতে কাজ করতে এসেছিল জলি দাস। স্থানীয় একটি আয়া সেন্টারই পাঠিয়েছিল তাকে।
প্রথমবার আয়া সেন্টার মারফত কাজে যোগ দেন জলি। সেই ভরসাতেই দ্বিতীয়বার তাকেই কাজে নিয়োগ করেছিল বোস পরিবার। কিন্তু সেই ভরসা যে এমন বিপদ ডেকে আনবে, ভাবতেওপারেননি বোস পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।