Nupur Sharma Row: ঘর থেকে বের হতেই বিজেপি কর্মী-পুলিস তুলকালাম, শেষপর্যন্ত হওড়ার পথে সুকান্ত
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই জেলায় ১২ জন শীর্ষ পুলিস কর্তাকে পাঠিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর
নিজস্ব প্রতিবেদন: দল থেকে বরখাস্ত প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে অগ্নিগর্ভ পাঁচলা সহ হাওড়ার একটি বড় অংশ। গতকাল ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাতীয়সড়ক অবরোধ তুলকালাম করে বিক্ষোভকারীরা। আজ হাওড়ার অশান্তিপূর্ণ জায়গায় যেতে চেয়েছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজারহাটে তিনি তাঁর ঘর থেকে বের হতেই পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি সমর্থকরা। সুকান্তু মজুমদারকে ঘর থেকে বের হতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির।
হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সেইসব জায়গায় যাতে সুকান্ত মজুমদার না যান তা বারবারই বলা হচ্ছিল বিধাননগরে কমিশনারেটের পুলিসের তরপে। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তিনি কোথায় যাবেন তা তাঁকে মুচলেকা দিয়ে জানাতে বলা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি সেই মুচলেকা দিতে অস্বীকার করেন। এনিয়ে টানাপোড়েনে দীর্ঘক্ষণ রাজারহাটের বাড়িতেই বসে থাকেন। এর মধ্যেই ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি রাজ্যসভাপতি। তখনই পুলিসের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিসের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে বহুক্ষণ রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকেন সুকান্ত মজুমদার। পরে দুপুর দুটোর পর দলের কার্যালয়ের দিকে রওনা দেন। সেখানে থেকেই তিনি হাওড়ার উদ্দেশ্য রওনা দেবেন বলে জানা যাচ্ছে।
এনিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের সাধারণ কর্মীদের উপরে অত্য়াচার হচ্ছে। আমাকে আটকে দেওয়া হয়েছে। আমাদের একজনের হাত ভেঙে গিয়েছে। পুলিস বর্বর হয়ে গিয়েছে। এই ক্ষমতাটা যদি আগে দেখাতে পারত তাহলে বাংলার এই অবস্থা হতো না। এখন বাংলার শোচনীয় অবস্থা। বাংলার মানুষ এখন তাদের জীবন-জীবিকা কীভাবে রক্ষা করবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত।
এদিকে, হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আজ এনিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে দরবার করেন। তাঁর দাবি, পরিস্থিতি সামাল দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই জেলায় ১২ জন শীর্ষ পুলিস কর্তাকে পাঠিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। হাওড়া শহরের জন্য পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিসের এডিজি নীরজকুমার সিংকে। তাঁকে সাহায্য করবেন নীশাত পারভেজ, মিরাজ খালিদ, সুমনজিৎ রায়, অঞ্জলী সিং, হোসেন মেহেদি রেহমান এবং অজিত সিং যাদব। হাওড়া গ্রামীণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিসের এডিজি অজয় কুমার, কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, ফারহাত আব্বাস, চন্দ্রশেখর বর্ধন এবং অনামিত্র দাসকে।