নোট বাতিল : আগামিকাল বেতনের টাকা তুলতে পারবেন তো?

পয়লা তারিখ বেতনের টাকা হাতে পাওয়া নিয়ে সংশয়ে মানুষ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে, পর্যাপ্ত টাকার জোগান রাখা হয়েছে। কিন্তু নোট আতঙ্কের বাজারে টাকা তোলার হুড়োহুড়ি কতটা সামাল দিতে পারবে ব্যাঙ্ক? মাসের শেষে সেই প্রশ্নই তাড়া করে বেড়াচ্ছে আম আদমিকে।

Updated By: Nov 30, 2016, 08:33 PM IST
নোট বাতিল : আগামিকাল বেতনের টাকা তুলতে পারবেন তো?

ওয়েব ডেস্ক : পয়লা তারিখ বেতনের টাকা হাতে পাওয়া নিয়ে সংশয়ে মানুষ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে, পর্যাপ্ত টাকার জোগান রাখা হয়েছে। কিন্তু নোট আতঙ্কের বাজারে টাকা তোলার হুড়োহুড়ি কতটা সামাল দিতে পারবে ব্যাঙ্ক? মাসের শেষে সেই প্রশ্নই তাড়া করে বেড়াচ্ছে আম আদমিকে।

মাস পয়লা। বেতন পাওয়ার দিন। সকাল থেকেই টাকা তোলার হুড়োহুড়ি, ভিড়। পয়লা তারিখের চাহিদা মেটাতে কী আদৌ তৈরি ব্যাঙ্ক? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে, তারা তৈরি। ইতিমধ্যে এরাজ্যের মানুষের চাহিদা মেটাতে টাকা ঢুকে গেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রাজ্য শাখায়।

নোটের ওপর 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'-এর পর রাজ্যে এসেছে মোট ৭৮০ কোটি টাকা। খুচরোর জোগানের জন্য ১০০ টাকার নোটে জোর দেওয়া হয়েছে। ১০০ টাকার নোট এসেছে ২৮০ কোটি। ২০০০ টাকার নোটে ৫০০ কোটি এসেছে। আগামিকাল থেকে সেই টাকা মিলবে ব্যাঙ্ক ও ATM-এ।

আরও পড়ুন- নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে মোদীকে কী হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, ATM-এ টাকা পাঠানো শুরু হয়ে গেছে। টাকা পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকারও আশ্বাস দিয়েছে, মাস পয়লার চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত টাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

কেন্দ্রের আশ্বাস

১ তারিখ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে প্রয়োজনীয় টাকা মিলবে ব্যাঙ্ক, ATM-এ। চাহিদামত টাকা পাঠানো হয়েছে সব ব্যাঙ্কে। কিন্তু সংশয় কাটছে না। নোট বাতিলের ঘটনা এদেশে নজিরবিহীন। এই পরিস্থিতিতে  মাস পয়লায় বেতনের চাহিদা মেটানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা কোনও ব্যাঙ্কেরই নেই। মাস ১লায় বেতন নিয়ে আশঙ্কা।

গ্রাহকরা প্রতি মাসে একই হারে টাকা তোলেন না। ফলে মাস ১লায় গ্রাহকদের চাহিদা সম্পর্কে  ব্যাঙ্কের  নির্দিষ্ট ধারণা থাকাও সম্ভব নয়। যে পরিমাণ টাকার জোগানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে চাহিদা মিটবে একথা বলা যায় না। নোট বাতিলের জেরে টাকা তোলা নিয়ে এমনিতেই আতঙ্কে মানুষ। ফলে ১তারিখ টাকার চাহিদা অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি হবে। রাজ্যের মুখ্যসচিব বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দিন সাতেক সময় লাগবে। নতুন নিয়মে গ্রাহকরা ১ সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২৪,০০০ টাকা তুলতে পারেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রাজ্য শাখায় ৭৮০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেকে যদি ২৪ হাজার টাকা করে এককালীন তোলেন, তাহলে মোট ৩ লক্ষ ২৫ হাজার গ্রাহকের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

কিন্তু, এরাজ্যে শুধু রাজ্য সরকারি কর্মচারির সংখ্যাই সাড়ে ৪ লক্ষের বেশি। ফলে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে বিস্তর ফাঁক থেকে যাচ্ছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারি এবং বেসরকারি কর্মীরাও রয়েছেন। তবে  গ্রাহকরা একদিনেই ২৪ হাজার টাকা তুলে নেবেন এই সম্ভাবনাও কম। ব্যাঙ্ককর্তাদের মতে, এক তারিখ টাকার চাহিদা কীরকম থাকে তা থেকে আগামিদিনের চাহিদা সম্পর্কে আন্দাজ পাওয়া যাবে। তাই সেদিকে সতর্ক নজর রেখেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শুক্রবারের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নতুন নির্দেশিকাও জারি করতে পারে RBI।

.