পাইকারি বাজারে নোটের প্রভাব পড়লেও, প্রভাব নেই খুচরো বাজারে
একদিকে বাজারে এসেছে শীতের সবজি। অন্যদিকে নোট বাতিলের ধাক্কায় খুচরোর অভাব। জোড়া ফলায় পাইকারি বাজারে এক ধাক্কায় সবজির দাম কমেছে অনেকটাই। তবে তার খুব বেশি প্রভাব পড়েনি খুচরো বাজারে। কারণ লাভের গুড় খাচ্ছে সেই ফড়েরাই।
ওয়েব ডেস্ক : একদিকে বাজারে এসেছে শীতের সবজি। অন্যদিকে নোট বাতিলের ধাক্কায় খুচরোর অভাব। জোড়া ফলায় পাইকারি বাজারে এক ধাক্কায় সবজির দাম কমেছে অনেকটাই। তবে তার খুব বেশি প্রভাব পড়েনি খুচরো বাজারে। কারণ লাভের গুড় খাচ্ছে সেই ফড়েরাই।
শুধু আলু নয়। নোট বাতিলের ধাক্কায় এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে দাম কমেছে বিভিন্ন সবজির। গত সপ্তাহে যে আলু বস্তা প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৪০০ টাকায়, চলতি সপ্তাহে তা নেমে গিয়েছে ৭০০ টাকায়। গত সপ্তাহে পটল ছিল ১৮০০ টাকা বস্তা। এ সপ্তাহে বস্তা পিছু পটলের দাম ১২০০ টাকা। ১৮০০ টাকা বস্তা করলার দাম এক ধাক্কায় নেমে গেছে নশোয়। গত সপ্তাহের ২০ টাকা কেজি ফুলকপির চলতি সপ্তাহের দাম ১৪ টাকা কেজি। একই ভাবে দাম কমেছে পেঁয়াজকলি, পালঙশাক, কুমড়োর। প্রতি বছর শীতের শুরুতে বাজারে আসে নতুন সবজি। ফলে দাম কিছুটা কমতে শুরু করে। এবার তার সঙ্গে রয়েছে নোট বাতিলের ধাক্কা। এসবের জেরে দাম কমেছে বটে, তবে অনেক আড়তেই মজুত সবজি কেনার লোক নেই।
আরও পড়ুন- নোট বাতিলের ধাক্কা কালীঘাট মন্দিরেও
বুধবার শিয়ালদায় এক কেজি পটলের দাম ছিল ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। ১ কেজি শসা এবং টমেটো ৪০ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। কেজিতে মাত্র ১০ টাকা কমেছে ক্যাপসিকাম। ৬০ টাকার জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। দাম কমেছে পালঙ শাকেরও। কেজি প্রতি ৫০ টাকার বদলে ৪০টাকা। তবে কুমড়োর দামে কোনও হেরফের হয়নি। কেজি প্রতি ২০ টাকাই রয়েছে।500 এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর ক্রেতারা যেমন সমস্যায়, তেমনই সমস্যায় খুচরো সবজি বিক্রেতারাও। নতুন নোট না থাকায়, অনেকেই মাল কিনতে পারছেন না। যাঁরা পারছেন, তাঁদের কিন্তু সেই চড়া দামেই মাল কিনতে হচ্ছে ফড়েদের থেকে। ফলে সমস্যাটা থেকেই যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের।