পাঁচই ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে মোদীর সভায় লোক টানতে দু`টাকা দামের নমো চা বিক্রি করছে রাজ্য বিজেপি
অভিনব প্রচার। নমো নমো টি স্টল। পাঁচই ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড ভরাতে টিস্টল বানিয়ে প্রচার শুরু করল রাজ্য বিজেপি। চায়ের মূল্য দু টাকা। হাওড়া স্টেশনের পাশে এই টিস্টলে চাও বিক্রি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। ভোট প্রচারে মোদির আমজনতা ইমেজ তুলে ধরতে ই বিজেপির এই অভিনব প্রচারসূচি বলে ধারনা রাজনৈতিক মহলের।
অভিনব প্রচার। নমো নমো টি স্টল। পাঁচই ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড ভরাতে টিস্টল বানিয়ে প্রচার শুরু করল রাজ্য বিজেপি। চায়ের মূল্য দু টাকা। হাওড়া স্টেশনের পাশে এই টিস্টলে চাও বিক্রি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। ভোট প্রচারে মোদির আমজনতা ইমেজ তুলে ধরতে ই বিজেপির এই অভিনব প্রচারসূচি বলে ধারনা রাজনৈতিক মহলের।
নরেন্দ্র মোদী কী চা খেতে ভালোবাসেন? উত্তর জানা নেই। তাহলে পাঁচই ফেব্রুয়ারি নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড ভরাতে হঠাৎ কেন বিজেপির চায়ের দোকান খুলে বসা।
চা,মোদি, ব্রিগেড এবং বিজেপি এরমধ্যে কোথাও কী কোনও যোগসূত্র রয়েছে। উত্তর হ্যাঁ। একসময় চা বিক্রি করতেন নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি এখন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। দেশের যে প্রান্তেই তিনি সভা করুন না কেন, সেখানেই আলাদাভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয় চা বিক্রেতাদের। এমনকী অনেক ভিভিআইপি স্থান না হলেও মঞ্চে চাআলাদার ডেকে নেন নরেন্দ্র মোদি নিজেই। এটা কী আসলে মোদির শুধুই চা প্রীতি। রাজনৈতিকমহলের ব্যাখ্যা অবশ্য ভিন্ন। আমজনতার কাছের মানুষ নরেন্দ্র মোদি। এই ইমেজটা তুলে ধরাই মোদির ভোটপ্রচারের ইউএসপি বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ এখনও ভোটব্যাঙ্কের বড় অংশই নিয়ন্ত্রক এখনও এই গরিবগুর্বো আমআদমিরাই। তাই গোটা রাজ্যে চায়ের স্টল বানিয়ে বিজেপির তাবড় তাবড় নেতারা এখন ব্যাস্ত চায়ের মুলুকে মোদি প্রচারে।
প্রধানমন্ত্রী র পদপ্রার্থী এক রাজপুত্র হাতের আস্তানা গুটিয়ে প্রায়শই ঢুকে পড়েন আদিবাসীদের ঘরে। অন্য প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী আবার নিজেকে যেন চাওয়ালা বলে পরিচয় দিতেই বেশি পছন্দ করেন। সবটার পেছনেই যে আসলে ভোটের বালাই তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এদের কেউ একজন প্রধানমন্ত্রী হলে আমজনতার ভাগ্য ফিরবে কিনা তা অবশ্য ভবিষ্যতই বলবে।