বৈঠকের পরেও কাটল না জমিজট
রাজ্যের প্রথম সারির শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পরও বড় শিল্পের ক্ষেত্রে জমিজট কাটল না। বুধবার রাজ্যের প্রথম সারির শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, একলপ্তে এক বা দেড় হাজার একর জমি দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে বড় বিনিয়োগের সম্ভবনা নিয়ে শিল্পমহলের হতাশা কাটল না। তবে একশ কিংবা দেড়শ একর জমি পেতে সমস্যা হবে না বলে বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন সরকারের আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় শিল্পপতিদের বাড়তি ইনসেনটিভ দেওয়াও সম্ভব হবে না। রাজ্যের শিল্পসংক্রান্ত কোর কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
রাজ্যের প্রথম সারির শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পরও বড় শিল্পের ক্ষেত্রে জমিজট কাটল না। বুধবার রাজ্যের প্রথম সারির শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, একলপ্তে এক বা দেড় হাজার একর জমি দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে বড় বিনিয়োগের সম্ভবনা নিয়ে শিল্পমহলের হতাশা কাটল না। তবে একশ কিংবা দেড়শ একর জমি পেতে সমস্যা হবে না বলে বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন সরকারের আর্থিক অবস্থা ভাল না থাকায় শিল্পপতিদের বাড়তি ইনসেনটিভ দেওয়াও সম্ভব হবে না। রাজ্যের শিল্পসংক্রান্ত কোর কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শিল্পে খরা কাটাতে ওই কমিটির মাথায় এখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। নতুন কমিটি গঠনের পরেই রাজ্যের বিভিন্ন চেম্বার অফ কমার্স প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও আইটিসির চেয়ারম্যান ওয়াই দেবেশ্বর, হর্ষ নেওটিয়াকেও বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বড় জমি দিতে না পারলেও ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে ছোট জমি দিতে কোনও অসুবিধা হবে না। একমাসের মধ্যে জমির ছাড়পত্র দেওয়ার ব্যবস্থাও করবে সরকার। ফলে প্রকল্পের প্রস্তাব আসার পর দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করতে পারবেন
বিনিয়োগকারীরা।
মুখ্যমন্ত্রীর ইতিবাচক বক্তব্যে খানিকটা আশার আলো দেখলেও বড় শিল্পের প্রশ্নে যথেষ্টই হতাশ শিল্পপতিরা। বড় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একলপ্তে হাজার-দেড়হাজার একর জমির প্রয়োজন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন এই ধরনের জমি সরকারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। শিল্পপতিরা আশা করেছিলেন, জমি নিয়ে টানা দুবছরের জট কাটবে বুধবারের বৈঠকে। কিন্তু কোর কমিটির চেয়ারম্যান বদল হলেও সরকারের নীতির যে কোনও পরিবর্তনই হয়নি বুধবারের বৈঠকে তা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল। মুখে সরকারের প্রশংসা করলেও নতুন বিনিয়োগ প্রশ্নে নীরবই থাকলেন শিল্পপতিরা।
বুধবারের বৈঠকে এসইজেড নিয়ে সরকারের নীতি পরিবর্তনের জন্য ভারত চেম্বার অফ কমার্সের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী কোনও মন্তব্য না করলেও জানিয়েছেন একমাসের মধ্যে নতুন শিল্পনীতি ঘোষিত হবে।