Nabanna Abhiyan: সম্পূর্ণ বেআইনি কর্মসূচি, অনুমতিই নেওয়া হয়নি, নবান্ন অভিযান নিয়ে সাফ দাবি পুলিসের
Nabanna Abhiyan: হাওড়া পুলিসের পক্ষ থেকে সংগঠকদের চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল আপনারা কতজন আসবেন, কত গাড়ি আসবে সব কিছু জানাতে। এটা জানানো আইনের মধ্যে পড়ে
সুতপা সেন: আরজি কর কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে 'পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ' নামে একটি সংগঠন। ওই অভিযানে অশান্তি পাকানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। এবার ওই অভিযানকে বেআইনি বলে জানিয়ে দিল পুলিস। এনিয়ে নবান্নে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডিজি, এডিজি আইনশৃঙ্খলা, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, সিপি হাওড়া এবং এসপি হাওড়া গ্রামীণ।
আরও পড়ুন-'নৈরাজ্য চলছে', আরজি করের প্রতিবাদে 'বঙ্গরত্ন' ফেরালেন সাহিত্যিক পরিমল দে!
এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমরা খবর পাচ্ছি ২৭ তারিখ নবান্ন অভিযান বলে একটা কর্মসূচি রয়েছে। এনিয়ে কোনো সংগঠন আমাদের কাছ থেকে এখনও কোনও অনুমতি নেয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে প্রশাসন তার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করতে পারবে। নবান্ন একটি রেস্ট্রিকটেড এরিয়া। পুলিসের কাছে আবেদন করলে পুলিস ঠিক করবে তারা অনুমতি দেবে কি না। এটা বেআইনি। যারা এই অভিযানের ডাক দিয়েছেন তারা যদি আমাদের কাছে আবেদন করেন তাহলে আমরা অন্য জায়গায় ব্যবস্থা করে দেব। অবশ্যই আইনগত ভাবে। বিভিন্ন সোর্স থেকে যে ইনপুট আমাদের কাছে আছে তাতে আমাদের মনে হচ্ছে ২৭ তারিখের এই অভিযানের মধ্যে দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির একটা চেষ্টা হবে। আপনারা জানেন ওইদিন একটা পরীক্ষা রয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য আমরা ব্যবস্থা করব। সাধারণ মানুষের যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্যেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এটা বেআইনি অনুষ্ঠান। আমরা সাধারণ মানুষকে বলব আপনারা এই কর্মসূচি এড়িয়ে চলুন।
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার এদিন বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার নাম এর আগে আমরা কখনও শুনিনি। শুরু থেকে বলা হচ্ছে এটা অরাজনৈতিক। এদের ফেসবুক পেজ থেকে কাদের ফলো করা হয় সেটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। বলা হচ্ছে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই দিন অর্থাৎ ২৭ তারিখ সর্বভারতীয় ইউজিসি নেট পরীক্ষা রয়েছে। তাহলে আমরা বুঝতে পারছি না ছাত্র সমাজের নাম করে ছাত্রদের পরিপন্থী এই আন্দোলনের কেন ডাক দেওয়া হল। যারা ডাক দিয়েছেন তাদের একজন গতকাল কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে একজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিষয়টি আমরা আদালতের সামনে আনব। আমরা খবর পাচ্ছি কালকের এই আন্দোলনের সময় কিছু দুষ্কৃতী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন। যারা কালকের আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছেন, তাদের আমরা চিহ্নিতকরনের চেষ্টা করছি। কোনো প্ররোচনায়, ফাঁদে পা দেবেন না। সবাইকে অনুরোধ করব এই চক্রান্তে পা দেবেন না। দুটি সমাবেশই সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি।
হাওড়া পুলিসের পক্ষ থেকে সংগঠকদের চিঠি দিয়ে বলা হয়েছিল আপনারা কতজন আসবেন, কত গাড়ি আসবে সব কিছু জানাতে। এটা জানানো আইনের মধ্যে পড়ে। নবান্ন ১৬৩ বিএসএস বা ১৪৪ ধারার মধ্যে পড়ে। ফলে নবান্ন বা তার সন্নিহিত এলাকায় ৫ জনের বেশি জমায়েত করা বেআইনি। সংগঠকরা আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাদের কাছে কোনো অনুমতি প্রার্থনা করেননি। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে আর জি কর কান্ডের প্রেক্ষিতে কোনো শান্তি পূর্ণ আন্দোলনকে পুলিস বাধা দেবে না। কিন্তু আইনসম্মত বিধিনিষেধ রাজ্য কার্যকর করবে না, এমনটাও নয়। ইউজিসি নেট পরীক্ষার কারণে কাল পর্যাপ্ত পুলিস রাস্তায় থাকবে। বিশেষ বাস থাকবে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে। একটা দুঃখজনক ঘটনাকে সামনে রেখে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চলছে। আমরা দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিতকরণের কাজ করছি। সময় মতো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মনোজ ভার্মা আরও বলেন, ১৪ তারিখের ঘটনায় আমাদের ইনটেল কি ছিল সেই বিষয় নিয়ে আমরা উপযুক্ত জায়গায় আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। আমরা সব রকম তথ্য সংগ্রহ করছি। আমরা আমাদের তথ্য এই মুহূর্তে সর্বসমক্ষে আনতে পারছি না।
সুপ্রতীম সরকার বলেন, আপনাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সামনে রেখে কোনো কোনো মহল থেকে চক্রান্ত করা হচ্ছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)