সারদা কাণ্ডে প্রয়োজন নেই সিবিআই তদন্তের
সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিলেন আদালত বন্ধু। আইন অনুসারে যে কোনও মামলায় বিচারপতির সুবিধার্থে একজন আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়। তাঁকেই আদালত বন্ধু বলে। আদালত বন্ধুর বক্তব্যের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে বিচারপতিদের রায়। সেই হিসাবে বলা যেতে পারে সারদা কাণ্ডে আদালত বন্ধুর এই বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিলেন আদালত বন্ধু। আইন অনুসারে যে কোনও মামলায় বিচারপতির সুবিধার্থে একজন আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়। তাঁকেই আদালত বন্ধু বলে। আদালত বন্ধুর বক্তব্যের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে বিচারপতিদের রায়। সেই হিসাবে বলা যেতে পারে সারদা কাণ্ডে আদালত বন্ধুর এই বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে আদালতে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি অসীমকুমার ব্যানার্জি ও মৃনালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবী লক্ষ্মীকুমার গুপ্তাকে আদালত বন্ধু নিয়োগ করে। মঙ্গলবার আদালতে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন আদালত বন্ধু লক্ষ্মীকুমার গুপ্তা। তাঁর মূল বক্তব্য,
১ এটি আর্থ সামাজিক অপরাধ, যাতে প্রতারিত হয়েছেন সমাজের প্রান্তিক মানুষ
২ রাজ্যের বাইরেও এই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে
৩ সংবিধানের ২১ নং ধারা অনুসারে জীবনধারণের আধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে
তবে, সিবিআই তদন্তে তিনি আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য,
১. বহু মানুষ ও বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সংগঠিত এই অপরাধের তদন্তে যে পরিকাঠামো ও কর্মীর প্রয়োজন তা সিবিআইয়ের নেই
২. শাসকদলের কয়েকজন সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, সরাসরি সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধে যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ মেলেনি
৩. এখনও পর্যন্ত যতদূর তদন্ত হয়েছে তানিয়ে কোনও অভিযোগ ওঠিনি
জনস্বার্থে দায়ের করা আরেকটি মামলায় আবেদন ছিল সব রাজ্যের তদন্তকারীদের নিয়ে একটি দল গঠন করে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। আদালত বন্ধু লহ্মীকুমার গুপ্তা তাতে রাজি নন। তাঁর আপত্তির কারণ,
১. বিভিন্ন রাজ্যের তদন্তকারীদের মধ্যে সমন্বয় রাখা কঠিন কাজ
২. এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ
সিবিআই তদন্ত এবং সমন্বয় কমিটি তৈরি করে তদন্তের যে জুটি আবেদন আদালতের কাছে করা হয়েছিল, দুটিই কার্যত খারিজ করে দিলেন আদালত বন্ধু লক্ষ্মীকুমার গুপ্তা। এই অবস্থায় বুধবার আবেদনকারীদের বক্তব্য শোনার পর রায় জানাবে আদালত।