ধর্মঘট নয় ভাষা শহীদ দিবসে

শেষ পর্যন্ত টানা আটচল্লিশ ঘণ্টার ধর্মঘট থেকে পিছু হঠল বামেরা। একুশ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান থাকায় ওইদিন এ রাজ্যে সাধারণ ধর্মঘট না করার জন্য কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলিকে প্রস্তাব দিল সিটু।

Updated By: Feb 5, 2013, 05:33 PM IST

শেষ পর্যন্ত টানা আটচল্লিশ ঘণ্টার ধর্মঘট থেকে পিছু হঠল বামেরা। একুশ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান থাকায় ওইদিন এ রাজ্যে সাধারণ ধর্মঘট না করার জন্য কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলিকে প্রস্তাব দিল সিটু।
সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও বিশে ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘট হবে। কিন্তু, একুশে ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের আওতা থেকে পরিবহণকে বাদ রাখতে চান তাঁরা। সাত ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন সিটুর রাজ্য সভাপতি। রেজিনগর, নলহাটি ও ইংরেজবাজারে উপ-নির্বাচন থাকায় ওই তিনটি বিধানসভা ক্ষেত্রকে দুদিনই সাধারণ ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে সিটু।
একুশ ফেব্রুয়ারি প্রচারের শেষ দিন মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও মালদা - তিন জেলাকেই ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখার পক্ষে তাঁরা। ভাষা শহিদ স্মারক সমিতির অনুরোধেই তাঁরা একুশে ফেব্রুয়ারি রাজ্যে সাধারণ ধর্মঘটের রাস্তা থেকে সরে আসতে চান বলে জানিয়েছেন সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী।
তবে, পরপর দুদিন ধর্মঘটে সামিল হলে কর্মসংস্কৃতির প্রশ্নে এ রাজ্যে বামেদের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেত বলে বিভিন্ন মহলের ধারণা। সিপিআইএম সহ বামফ্রন্টের শরিকদলগুলির নেতাদের একাংশও টানা দুদিন ধর্মঘটের বিপক্ষে। এই অবস্থায় তাঁরা দুদিনের ধর্মঘটকে একদিনে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

.