দীর্ঘ জেরার পরে অবশেষে গ্রেফতার নীতু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়াল

দীর্ঘ জেরার পরে অবশেষে গ্রেফতার হলেন নীতু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়াল। শনিবার বিকেল তিনটে থেকে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করে সিবিআই।

Updated By: Aug 24, 2014, 08:50 AM IST
দীর্ঘ জেরার পরে অবশেষে গ্রেফতার নীতু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়াল

ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ জেরার পরে অবশেষে গ্রেফতার হলেন নীতু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়াল। শনিবার বিকেল তিনটে থেকে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করে সিবিআই। বেশি রাতে দিল্লি অফিসে জেরার পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানায় সিবিআই। জানানো হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে। শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন, প্রাক্তন ডিজি রজত মজুমদার ও সন্ধির আগরওয়ালকে একসঙ্গে জেরা করে সিবিআই।

সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার হলেন নীতু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়াল। মূলত চা ব্যবসায়ী আগরওয়াল গোষ্ঠীর কর্নধার বাম জমানার শেষদিকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় নামেন। দিল্লি ও কলকাতার একাধিক রাজনীতিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। আর্থিক নিয়ামক সংস্থা সেবি ও আরবিআইয়ের সঙ্গে সমঝোতার জন্য সন্ধিরের সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন নীতু। সন্ধির ও তাঁর বাবা সজ্জন আগরওয়ালের মাধ্যমে প্রায় চল্লিশ কোটি টাকা খরচ করেছেন সুদীপ্ত সেন। গত দুদিন সন্ধিরকে টানা জেরা করেছে  সিবিআই। জেরাতে প্রচুর অসঙ্গতি উঠে এসেছে। সিবিআইয়ের দাবি,  নিজেকে স্বচ্ছ প্রমাণের জন্য রাজনৈতিক যোগাযোগ ব্যবহারের চেষ্টা করতেন সন্ধির। জেরায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে প্রতিষ্ঠিত এক রাজনীতিবিদের নামও করেছেন তিনি। বেশি রাতে জেরার পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিল্লির অফিসে জানান কলকাতার সিবিআই আধিকারিকরা। জানানো হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকেও। এরপরই   গ্রেফতার করা হয় সন্ধির আগরওয়ালকে।

শনিবার সুদীপ্ত সেন, রজত মজুমদার, দেবব্রত সরকার, সন্ধির আগরওয়ালদের নিয়ে সরগরম ছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স। বেলা এগারোটায় সিবিআই অফিসে যান প্রাক্তন ডিজি রজত মজুমদার। প্রায় সাত ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন গোয়েন্দারা। বিকেল তিনটে নাগাদ আসেন সন্ধির আগরওয়াল। কখনও প্রত্যেককে আলাদা করে, আবার কখনও একজনের সঙ্গে অন্যজনকে বসিয়ে জেরা চলে।

সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে এদিন তিন দফায় ওপরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে রজত মজুমদারের সঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হয় তাঁকে।

দ্বিতীয়বার  সুদীপ্ত সেন, রজত মজুমদার ও সন্ধির আগরওয়ালকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করেন গোয়েন্দারা।

পরে সুদীপ্ত সেন, দেবব্রত সরকার ও সন্ধির আগরওয়ালকে একসঙ্গে জেরা করে সিবিআই

বারবার তথ্যে অসঙ্গতি উঠে আসার কারণেই জেরায় এই কৌশল নেয় সিবিআই। তাদের অভিযোগ, প্রাক্তন ডিজি শুরু থেকেই তথ্য গোপন করে যাচ্ছেন।

রজত মজুমদারের দেওয়া নথিতে বিস্তর গরমিল রয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের।

সারদা গোষ্ঠীর টাকায় লাসভেগাসে আয়োজিত হয়েছিল বঙ্গসম্মেলন অনুষ্ঠান। সেখানে কোথায় কত টাকা লেনদেন হয়েছিল, রজত মজুমদারের কাছে গোয়েন্দারা তা জানতে চান। সিবিআইয়ের দাবি, প্রাক্তন ডিজি এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।

দেব্রত সরকার এবং সন্ধির আগরওয়াল গ্রেফতারের পর এবার জেরার মুখে পড়তে চলেছেন ময়দান ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজন। নীতুর ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করেছেন সারদার মিডল্যান্ড পার্ক অফিসের দুই মহিলা কর্মী।  

 

.