যে ভরত, সে-ই সুমিত! নিউটাউনকাণ্ডে ভুয়ো আধার-প্যানে ঘোল খাইয়েছে এই দাগী
সুমিত কুমারের নামে আধার কার্ড, প্যান কার্ড দিয়ে ফ্ল্যাট বুক হয়েছিল। কিন্তু সবটাই জাল!
পিয়ালি মিত্র
ভরত কুমার হয়ে গেল সুমিত কুমার। ছদ্মনাম ও ছদ্ম পরিচয়ে কলকাতায় এসেছিল সুমিত কুমার। উদ্দেশ্য একটাই। জয়পাল ও জসসির জন্য আস্তানা ঠিক করা। ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তি করে হরিয়ানায় ফিরে যায় ভরত কুমার। সাপুরজিতে থেকে যায় জয়পাল ও জসসি।
সুমিত কুমারের নামে আধার কার্ড, প্যান কার্ড দিয়ে ফ্ল্যাট বুক হয়েছিল। কিন্তু সবটাই জাল! সুমিত কুমারের নামে নথি। কিন্তু আসলে সুমিত কুমার নামে কেউই নেই। ভরত কুমারই সুমিত কুমার। সে হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা ভরত কুমার। সুমিত কুমারের নামে তৈরি হয় ভুয়ো পরিচয়পত্র। ভুয়ো নথি দিয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় ভরত কুমার। সূত্রের খবর, ভরতের সঙ্গে জয়পাল ভুল্লারদের দীর্ঘদিনের যোগাযোগ। অনিল দুগ্গার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ভরতের। তার মাধ্যমে সাপুরজির ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে তত্পর হয় ভরত কুমার।
বুধবার দুপুরে ভরত কুমারকে গ্রেফতার করে পঞ্জাব পুলিস। তার কাছে পাওয়া যায় ভাড়ার চুক্তিপত্র। ২২ মে জয়পাল এবং জসপ্রীতকে নিয়ে কলকাতায় আসে ভরত। জানা গিয়েছে, ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করতে সিদ্ধহস্ত সে। তিনজনের ভুয়ো পরিচয় দেখিয়ে কলকাতায় আসার পথে পুলিসকেও ধোঁকা দিয়েছিল তারা। জয়পালের নাম হয় রাজীব এবং জসপ্রীতের ভূষণ কুমার। ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার জন্য ভুয়ো নথি জমা দেয়। চুক্তির কাগজেও সুমিত কুমার নামে সই রয়েছে। ফ্ল্যাট নেওয়ার আগে নিউটাউনের হোটেলে উঠেছিল ভরত কুমার। জয়পালও নিউটাউনের অন্য একটি হোটেলে ওঠে। ফ্ল্যাট ভাড়ার চুক্তি হওয়ার পর সাপুরজিতে ঢোকে জয়পাল। সঙ্গে তার শাকরেদ। জয়পালদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে পরিচয় দেয় ভরত কুমার। চাকরির সূত্রে ২ জনের কলকাতায় বদলি হয়েছে বলে দাবি করে।
জয়পালদের সাপুরজিতে ঢুকিয়ে ২ জুন লুধিয়ানা ফিরে যায় ভরত কুমার। আপাতত সে পঞ্জাব পুলিসের হেফাজতে রয়েছে। তার কাছ থেকে ৬টি মোবাইল, প্রচুর ভুয়ো পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। ভরত সিম কার্ডও জোগাড় করে দিয়েছিল। এ দিন রাতে সাপুরজির ওই ফ্ল্যাটের ২ মালিককে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন- নিউটাউন শুটআউটে পিংলা-যোগ, তদন্তকারীদের হাতে নতুন তথ্য