দশমীতে নিউটাউনে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, সিবিআই তদন্ত চায় মৃতের পরিবার
যদিও নিছক দুর্ঘটনার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে অভিষেকের পরিবার। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে পুলিসের গাফিলতি নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দশমীতে বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর রহস্যমৃত্যু। জানা গিয়েছে নবমীর দিন রনি নামে এক বন্ধুর বাড়িতে যায় অভিষেক মণ্ডল। সেখান থেকে ফেরার সময়েই গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বলেই রনির দাবি। যদিও দুর্ঘটনার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে অভিষেকের পরিবার। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে পুলিসের গাফিলতি নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
ব্যাঙ্গালুরুতে একসঙ্গে কাজ করতেন রনি এবং অভিষেক। রনির দাবি, দশমীতে সকালে বাড়ি ফেরার সময় গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিষেককে। এরপর রনি ফোনেই সেই খবর দেন অভিষেকের পরিবারকে। এর ঠিক ৫দিন পর মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
আর এই দুর্ঘটনার কথাই মেনে নিতে পারছেন না পরিবার। তাঁদের অভিযোগ দুর্ঘটনা নয়, খুন করা হয়েছে অভিষেককে। এ প্রসঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্নও তুলেছে মৃতের পরিবার। তাঁদের প্রশ্ন, ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২ কিমি রাস্তা যেতে কেন ১ ঘণ্টা সময় লাগল, দুর্ঘটনাতেই যদি জখম হয়ে থাকেন অভিষেক তবে মাথা বাদ দিয়ে শরীরের অন্য কোনও স্থানে আঘাতের চিহ্ন নেই, গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটলে হাতঘড়ি, দুটি মোবাইল ফোন এবং চশমা কীভাবে অক্ষত থাকতে পারে। পাশাপাশি উঠেছে আরও প্রশ্ন।
এ ক্ষেত্রেও পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। অভিযোগ, গাড়ি বাজেয়াপ্ত করতেই পুলিসের ৪ দিন লেগে গিয়েছে, সে ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হয়েছে। ফরেন্সিক পরীক্ষা করতেই পার হয়ে গিয়েছে ৮দিন। মৃতের কোনও জামাকাপড় পরীক্ষা করা হয়নি। পাশাপাশি লঘু ধারায় জামিয়ে ছাড়া পেয়েছে চালক। পাসপোর্ট জমা নিয়ে ছেড়ে দওযা হয় বন্ধুকে। সে ব্যাঙ্গালুরু ফিরতেই বন্ধ হয়ে যায় তাঁর ফোন।
আরও পড়ুন: দেবাঞ্জন হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত প্রিন্স সিংকে গ্রেফতার করতে আট দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি পুলিসের
কাজেই সবমিলিয়ে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। পুলিসের ওপর আস্থা নেই তাই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে অভিষেক এর মা ও বাবা। এদিন তাঁরা বলেন "পুলিসের ওপর ভরসা নেই। তাই সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। "