বিয়ের জন্য প্রবল চাপ দিচ্ছিল চুমকি, গলার কাঁটা নামাতেই নিউটাউনের হোটেলে এনে খুন

পরিকল্পনা মতো তার গত ২২ ডিসেম্বর নিউটাউনের(New Town) ওই হোটেলে ওঠে বেলা ১টা নাগাদ

Updated By: Jan 6, 2021, 03:26 PM IST
বিয়ের জন্য প্রবল চাপ দিচ্ছিল চুমকি, গলার কাঁটা নামাতেই নিউটাউনের হোটেলে এনে খুন

নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় নিউটাউনের হোটেলে গৃবধূর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে। টানা জেরায় অভিযুক্ত অমিত ঘোষের মুখ থেকে বেরিয়ে এল খুনের আসল কারণ।

শ্বশুর বাড়ির এলাকার তরুণ অমিত ঘোষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের(East Midnapur) গৃহবধূ চুমকি ঘোষ। সেই সম্পর্কই শেষপর্যন্ত কাল হল তার।

আরও পড়ুন-খুন হওয়ার আগে ২১ বার প্রিয়াঙ্কাকে ফোন মৃধার, CBIএর র‌্যাডারে আরও ৩

কেন খুন

পুলিসের জেরায় অমিত ঘোষ স্বীকার করেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বিয়ের জন্য প্রবল চাপ দিচ্ছিল চুমকি। বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। শেষ পর্যন্ত চুমকিকে জীবন থেকে সরাতেই খুনের রাস্তা বেছে নেয় সে।

বাসে যাতায়াতের পথে চুমকি সঙ্গে পরিচয় হল অমিতের। সেখান থেকে ফেসবুকে আরও গাঢ় হয় সেই ঘনিষ্ঠতা। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা সাক্ষাত। এভাবেই চলছিল। কিন্তু কিছুদিন হল তাকে বিয়ের জন্য অমিতের ওপরে চাপ দিচ্ছিল চুমকি। সেই চাপ ক্ষোভ বাড়াতে থাকে অমিতের মনে। তা থেকেই সে চুমকিকে সরিয়ে দেওয়া প্ল্যান করতে থাকে। 

কীভাবে পরিকল্পনা

একসময় হোটেল কাজ করতো অমিত ঘোষ। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার এক সহকর্মীর ফোন নম্বর বের করে অমিত। তাকে ফোন করে জানতে পারে সে নিউ টাউনের ডিডি ব্লকের একটি হোটেল কাজ করে। ওই খবর পেয়েই সেই বন্ধুর হোটেলকেই খুনের জায়গা হিসেবে বেছে নেয়। পরিকল্পনা মতোই চুমকিকে বিয়ের কথা জানায় অমিত। ওই কথা শুনে খুনের ঘটনায় ৮ দিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে সাঁতরাগাছিতে বাপের বাড়িতে চলে আসে চুমকি।

আরও পড়ুন-সংসদে আরও বেশি উপস্থিতি জরুরি মোদীর, নিজের বইতে প্রণব

কীভাবে খুন

পরিকল্পনা মতো তার গত ২২ ডিসেম্বর নিউটাউনের(New Town) ওই হোটেলে ওঠে বেলা ১টা নাগাদ। দুটোর সময় তারা খাবার দিতে বলে। তখনই  হোটেলে জানিয়ে দেয় সন্ধে আটটা নাগাদ তারা বেরিয়ে যাবে। পুলিসের জেরায় অমিত জানিয়েছে, খাওয়ার পর বিয়ে করা নিয়ে প্রবল ঝগড়ঝাঁটি হয় দুজনের মধ্যে। এই সুযোগটাই খুজছিল অমিত। মদের ভাঙা বোতল দিয়ে চুমকিকে কুপিয়ে খুন করে অমিত। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে গলায় মোবাইল চার্জারের তার জড়িয়ে শ্বাসরোধও করে। এরপর মৃতদেহ চাদর চাপা দিয়ে বিকেল ৪টে নাগাদ বেরিয়ে যায়।

তদন্তে এসে পুলিস খাটের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অমিতকে চিহ্নিত করা হয়। শেষপর্যন্ত টেকনো সিটি থানার পুলিস মঙ্গলবার অমিতকে গ্রেফতার করা হয় ঝাড়গ্রামের(Jhargram) নয়াগ্রাম থেকে।

.