বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়া অর্ডিনান্স
রাজ্যের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাব্যবস্থায় বড়সড় রদবদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। অনুদানপ্রাপ্ত তেরোটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সংশোধনী আইন আনা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত অর্ডিনান্স জারি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
রাজ্যের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাব্যবস্থায় বড়সড় রদবদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। অনুদানপ্রাপ্ত তেরোটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সংশোধনী আইন আনা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত অর্ডিনান্স জারি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই অর্ডিনান্সে বলা হয়েছে, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থায় ছাত্র, শিক্ষাকর্মী এমনকী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সংশোধনী আইন সংক্রান্ত এই অর্ডিনান্স অনুসারে, সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থায় ছাত্রদের কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। থাকবে না শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধিত্ব। পাঁচ জন শিক্ষক শুধুমাত্র নির্বাচিত হয়ে আসতে পারবেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কোটাও তুলে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে অর্ডিনান্সে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চনিয়ামক সংস্থা কোর্ট, সেনেট কাউন্সিল বা সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা কমানো হবে। নির্বাচিত সদস্যের বদলে বাড়ানো হবে মনোনীত সদস্যের সংখ্যা। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সংশোধনী আইন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিষয়টি বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। বিল আনার আগে আপাতত অর্ডিনান্স জারি করা হচ্ছে। স্বাক্ষরের জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হচ্ছে অর্ডিনান্স। এছাড়াও উপচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। মেয়াদ ফুরোনোর আগেই প্রয়োজনে উপাচার্যকে অপসারণ করা যাবে। উপাচার্য কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। সার্চ কমিটিতে থাকবে গভর্নরস নমিনি, ইউজিসি নমিনি এবং কোর্ট বা সেনেট নমিনি। এদিকে সরকারের এই অর্ডিন্যান্স ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শিক্ষামহলে। সরকারের তরফে দাবি, ইউজিসির নিয়ম মেনেই সব পরিবর্তন করা হয়েছে। যদিও অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো নিয়ে ইউজিসির নিয়ম মানা হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চুপ সরকার।