৩০ টি দমকলের ইঞ্জিন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নেভাল সিটিমার্টে

দমকলের ৩০ টি ইঞ্জিনের সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর অবশেষে নিয়ন্ত্রণে ধর্মতলার সিটিমার্টের আগুন। আজ বেলা সাড়ে ১১ টায় আগুন লাগে শপিংমলের তিনতলায়। ধীরে ধীরে তা ছড়ায় বিল্ডিংয়ের বাকি অংশেও। আগুন নেভাতে একটা সময়ে হিমসিম খেতে হয় দমকলকে। শেষপর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি দমকলের কাজ অনেকটাই সহজ করে দেয়।

Updated By: Apr 26, 2015, 10:40 PM IST
৩০ টি দমকলের ইঞ্জিন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর আগুন নেভাল সিটিমার্টে

ওয়েব ডেস্ক: দমকলের ৩০ টি ইঞ্জিনের সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর অবশেষে নিয়ন্ত্রণে ধর্মতলার সিটিমার্টের আগুন। আজ বেলা সাড়ে ১১ টায় আগুন লাগে শপিংমলের তিনতলায়। ধীরে ধীরে তা ছড়ায় বিল্ডিংয়ের বাকি অংশেও। আগুন নেভাতে একটা সময়ে হিমসিম খেতে হয় দমকলকে। শেষপর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি দমকলের কাজ অনেকটাই সহজ করে দেয়।

নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে আগুনের স্মৃত্মি এখনও ফিকে হয়নি। রবিবার ফের বিধ্বংসী আগুন নিউমার্কেট লাগোয়া সিটি মার্ট শপিং মলে।

সকাল ১১.৩০

আগুন লাগে সিটিমার্টের তিনতলায়। শপিং মলের বেশিরভাগ তলাতেই কাপড়, চামড়া ও দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। ফলে নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়াতে শুরু করে। খবর যায় দমকলে। ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন, ও একটি স্কাই ল্যাডার।

বেলা ১টা

আগুন ক্রমশ বিধ্বংসী আকার নিতে শুরু করে। উত্স-এ পৌছতে জানলার কাঁচ ভাঙতে শুরু করেন দমকল আধিকারিকরা। কিন্তু, তাতেও বিশেষ সুবিধা হয়নি। ভিতরদিক থেকে ইট ও প্লাইউডের গাঁথনি থাকায় জল আগুনের কাছাকাছি পৌছতে পারেননি দমকলকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। নিয়ে আসা হয় দ্বিতীয় স্কাই ল্যাডারও।

বিকেল ৩টে

দোতলা ও তিনতলার বেশকিছু জানলার কাচ ভাঙার ফলে বেরিয়ে আসে আগুনের লেলিহান শিখা। আগুন ক্রমশ ছড়াতে শুরু করে পাশের নিউ এম্পায়ার বিল্ডিংয়ে। দুটি স্কাই ল্যাডার নিয়ে আগুন নেভানোর মরিয়া লড়াই চালাচ্ছিল দমকল। তখনই নামে মুষলধারে বৃষ্টি। ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কমে যায়। সেইসঙ্গে, বিল্ডিংয়ের তাপও অনেকটাই কমে। বেশকয়েকটি দেওয়াল ভেঙে  ভিতরে জল দেওয়া শুরু হয়।

বিকেল ৪টে

সিটিমার্ট বিল্ডিংয়ের পশ্চিমদিক দিয়ে দোতলায় পৌছন দমকলকর্মীরা। দুটি স্কাই ল্যাডারের চেষ্টায় ধীরে ধীরে আগুন খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আকাশে ওড়ে ড্রোন।

সন্ধে ৬টা

সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কিন্তু, তখনও পকেট ফায়ার রয়ে গেছিল । দমকল কর্মীরা তা পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দোতলার মেঝের একটা অংশ ভেঙে পড়ে। বিল্ডিংয়ের এরকম বিপদজনক অবস্থা আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাওয়া দমকল কর্মীদের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ।

 

.